গজ কাপড় এখনই

0
457

হাবীবাহ্ নাসরীন>>গজ কাপড় ১অনেক খুঁজে ঈদের জন্য একটা মনের মতো পোশাক কিনলেন। তারপর ঈদের দিন বাইরে বেরিয়ে দেখলেন হুবহু আপনারই পোশাক আরেকজনের গায়েও শোভা পাচ্ছে! একটু কি মন খারাপ হবে না তখন? সবাই চায় একটু আলাদা থেকে নিজস্বতা ধরে রাখতে। আপনি কেন চাইবেন না? যদি চান আপনার পোশাকটি শুধু আপনারই হোক, তবে নিজের পোশাকের ডিজাইনার হতে পারেন নিজেই। বাজার ঘুরে পছন্দসই কাপড় কিনে মনের মতো ডিজাইন করে নিতে পারেন। ভাবছেন, এখন গজ কাপড়ের খোঁজ কেন দিচ্ছি? সময় যে একদম নেই! রমজান তো শুরু হয়েই গেল, এদিকে আবার ১৫ রমজানের পর থেকে দর্জিবাড়িতে অর্ডার নেয়া বন্ধ। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক গজ কাপড়ের খোঁজখবর। কোথায় কেমন কাপড়

গজ কাপড়ের সবচেয়ে বড় বাজার ঢাকার ইসলামপুর, চট্টগ্রামে রেয়া্জউদ্দিন ও টেরী বাজার। ঈদ উপলক্ষে বাজারে এবার বাহারি নামের কাপড় এসেছে। দামেও আছে পার্থক্য। যেমন ফ্রেন্স বাটার সিল্ক ১ হাজার ৫০, বালিকা বধূ মাখন ২ হাজার, পিওর মাখন ৩ হাজার, ত্রিশ-ত্রিশ জর্জেট ১ হাজার ২০০, মহারানী জর্জেট ১ হাজার ৮০০, স্পার্কল জর্জেট ৫৫০, জয়পুরি সুতি ৭০০ ও কম্পিউটারে কাজ করা দেশি সুতি ৫৫০ টাকা। এছাড়া রয়েছে প্রিন্টের সুতি থান কাপড়, গজপ্রতি দাম পড়বে ৩৫ টাকা। আছে বেক্সি ফেব্রিক্স একরঙা কাপড়, দাম পড়বে গজপ্রতি ১২০ টাকা। গজ কাপড়ের বাজারের কথা বললে প্রথমেই মনে আসে ঢাকার চাঁদনী চক ও গাউসিয়া মার্কেটের কথা। এ দুটি বিপণিবিতানে গজ কাপড়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা সুতির চায়না কাপড়ের দাম ২০০ থেকে ৬০০, চায়না জর্জেট ১৫০ থেকে ১৮০ ও চায়না নেটের কাপড় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।

এবার ঈদের বিশেষ আকর্ষণ কাতানের কাপড়- জানালেন এ মার্কেটের অনেক বিক্রেতা। গজপ্রতি ১২০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে বাহারি সব কাতান কাপড়। এছাড়া একরঙা চোষা কাপড়ের দাম গজপ্রতি ৮০ থেকে ১২০, চিকেন জর্জেট ৩৫০ থেকে ৪০০, মাখন জর্জেট (একরঙা) ১৫০, মাখন সিল্ক প্রিন্ট ২০০, ক্রাশড টিসু ২০০ টাকা। দেশি সুতি ও বাটিকের কাজ করা কাপড় পাবেন ১২০ থেকে ৩৫০ টাকায়।

এমব্রয়ডারি, পাথর, চুমকি প্রভৃতি কাজ করা সেলাই ছাড়া জর্জেট, শিফনের সালোয়ার-কামিজের কাপড় পাওয়া যাবে ঢাকার চাঁদনী চকে, চট্টগ্রামে নিউ মার্কেটে, রেয়া্জউদ্দিন ও টেরী বাজার, চকবাজার, সেন্ট্রাল প্লাজা । দামটা ওঠা-নাম করে মোটামুটি ২ হাজার থেকে ৬ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। প্রিন্স প্লাজায় মনে রেখো শাড়িজে পাবেন সেলাই ছাড়া সালোয়ার-কামিজের কাপড়। এর মধ্যে কৃত্রিম রিভার সিল্কের দাম ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০, বিশাল ২ হাজার থেকে ৫ হাজার, সিল্ক ৫ হাজার থেকে ৯ হাজার, হাফসিল্ক ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার, জয়পুরি সুতির কাপড় ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা ও পিওর জর্জেট চুন্দ্রি ১ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায়।

ঢাকার মৌচাক ও আনারকলি ,চট্টগ্রামে নিউ মার্কেটে, রেয়া্জউদ্দিন ও টেরী বাজার, চকবাজার, সেন্ট্রাল প্লাজা মার্কেটে পাবেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টের কাপড়। এছাড়া মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরে সবুজ বাংলা মার্কেটে রয়েছে দেশি তাঁতের বাজার। এবার ঈদ যেহেতু গরমের মধ্যে পড়েছে, তাই প্রাকৃতিক রঙ করা অ্যান্ডি কাপড় আরামদায়ক হবে। ঈদ উৎসবে সুতির কাপড়ে রঙটায় যাতে বৈচিত্র্য থাকে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। অনেকে ঈদের দিন জমকালো কাপড়ের পোশাক পরতে পছন্দ করেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, ঈদের দিনের সেই জমকালো পোশাকটি ওই এক দিনই পরা হয়, পরে আর পরা হয় না। তাই ঈদের সারা দিন পরা যাবে, অবার ঈদের পরও পরা যাবে- এমন কাপড় বা পোশাক কেনাই ভালো।

কেমন কাটিং
ফ্যাশন ডিজাইনার তৌহিদা তহু জানালেন, গেল বছরের মতো এ বছরও লং কামিজের আধিক্যই বেশি দেখা যাবে। ঝুলের লেন্থ দুই পাশ থেকে আরও খানিকটা বেড়েছে। হাতা হিসেবে থ্রি-কোয়ার্টারেরই জয়জয়কার। তবে গরমের দিকটা লক্ষ রেখে ম্যাগি কিংবা ঘটিহাতাও বানাতে পারেন। গত কয়েক বছর লং কামিজের সঙ্গে লেগিংস কিংবা চুড়িদার চললেও এবার সেই জায়গাটা দখল করেছে পালাজ্জো ধাঁচের সালোয়ার। উপরের দিকটা চাপা এবং নিচের দিকটা ছড়ানো অনেকটা প্যান্ট কাটিংয়ের এ সালোয়ারগুলো তরুণীরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যেই গ্রহণ করেছে।

সেলাইয়ের খরচ
সালোয়ার-কামিজ বানাতে খরচ ২৫০ টাকা। শুধু সালোয়ার ১০০ এবং কামিজ বানাতে খরচ পড়বে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। তবে অভিজাত সেলাই দোকানে খরচ একটু বেশি পড়বে।