গত রমজানের তুলনায় নিম্নমুখী খাতুনগঞ্জের বাজার

0
67

দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। এই পাইকারি বাজারের ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়ে যায় রোজা এলে। রমজানের বাকি এখনো একমাসের বেশি। তবে ইতোমধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়েছে কারণ রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানি করা ভোগ্যপণ্যের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছে। আর আন্তর্জাতিক বাজারে দর পড়ে যাওয়ায়, এবার সিংহভাগ পণ্যের দাম নিয়েও সন্তুষ্ট ব্যবসায়ীরা। দাম কিছুটা বেড়ে স্থিতিশীল রয়েছে ছোলার বাজারও।

এই ব্যস্ততা দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের। রমজানকে সামনে রেখে ক্রমেই বাড়ছে এই কর্মব্যস্ততা। ব্যবসায়ীরা জানান, এবার অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় নিম্নমুখী। গেলবার পাইকারিতে মণপ্রতি যে মশুর ডাল সর্বোচ্চ ৩১শ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটি এবার ২ হাজার টাকা। চিনি আর পাম অয়েলে কমেছে সাড়ে ৪শ এবং সয়াবিনে ৯শ টাকা। তবে ৫০ টাকা বেড়েছে ছোলার দাম।

কাস্টমসের তথ্য মতে, গেল প্রায় ৪ মাসে বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। আর তাই সংকট সৃষ্টি বা দাম বাড়ার কোন কারণ দেখছেননা পাইকাররা।

আমদানি আর পাইকারি পর্যায়ে তেল-চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা হয়ে থাকে এসও বা সরবরাহ আদেশের মাধ্যমে। যে প্রক্রিয়ায় আমদানিকারকের কাছ থেকে মধ্যস্বত্বভোগী বা দ্বিতীয় কোন পক্ষের হাত ধরে পণ্য চলে যায় আড়তদার বা পাইকারের কাছে। ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত ডিও বিক্রি হলেও, যেহেতু সর্বোচ্চ দেড়মাসের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ বা মালামাল বিক্রি করতে হয়, তাই কোন সমস্যার আশংকা করছেন না ব্যবসায়ী নেতারা।

কৃত্রিম যে কোন সংকট এড়াতে আগেভাগে কঠোর নজরদারিরও তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী মিজান মালিক বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে
ছোলাসহ নানা ধরণের ডালের দাম মোটামুটি স্থির। কিন্তু দেশীয় বাজারে সব ধরনের ডালের দাম নিম্নমুখী। বাজারে সব ধরনের পওণ্যর মজুদ ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও চাহিদা কমে যাওয়ায় বাজার মন্দা।