গত ৫ বছরের উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি-নাছির

0
129

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব আ জ ম নাছিরনাছির উদ্দীন গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সারাদিন উত্তর পাহাড়তলী ও জালালাবাদ ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী আ জ ম নাছির উদ্দীনকে কাছে পেয়ে অভিযোগ করে বলেন, গত পাঁচ বছরে এলাকায় কোনো জনপ্রতিনিধিকে দেখতে পাননি, তাদের অভাব অভিযোগের কথা কাউকে জানাতে পারেননি।
এ সময় আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘নগরের প্রান্তিক ওয়ার্ডগুলোতে এখনও শহরের মধ্যে হলেও কার্যত গ্রাম রয়ে গেছে। এখানে গত ৫ বছরে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। উত্তর পাহাড়তলী ও জালালাবাদ ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে পানি সংকট এবং পাহাড়ধসের মতো সমস্যা রয়েছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমাকে একবার সুযোগ দিয়ে দেখুন। আল্লাহ’র রহমতে আপনাদের দোয়ায় আমি মেয়র নির্বাচিত হলে এলাকার সব ধরনের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব। সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়েও উন্নয়নের দিক থেকে এতটা পিছিয়ে থাকাটা প্রমাণ করে এই ওয়ার্ডগুলোর প্রতি বিগত প্রশাসনের অবহেলা ছিল। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য, এলাকার উন্নয়নের জন্য আমাকে একবার সুযোগ দিন, ইনআল্লাহ আমি এসব সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ নেব।
তিনি বলেন, আমি সময়ের স্বল্পতার কারণে আপনাকে প্রত্যেকের বাড়িতে যেতে পারছি না। কিন্তু আমার পক্ষ থেকে আমার প্রতিনিধিরা, আওয়ামী লীগ ও নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ, ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ আপনাদের কাছে যাচ্ছেন। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে আমি ঘরে ঘরে আপনাদের সাথে দেখা করে আসবো। আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি নগরপিতা নয়, নগর সেবক হয়েই আপনাকে সেবা করবো।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বাসা থেকে বের হওয় উত্তর পাহাড়তলীয় ওয়ার্ডের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সকাল সাড়ে ৮টায় ফতেয়াবাদ হযরত শাহজালাল বুখারী (রা.) মাজার জেয়ারত করে ওই এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেন আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। এরপর তিনি যান ফতেয়াবাদের মাহমুদাবাদ এলাকা, শৈলবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায়। সেখানে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার আবদুর রশিদের বাড়িতে গিয়ে গণসংযোগ করেন। এরপর তিনি উত্তর ফতেয়াবাদ রাম ঠাকুর গ্রাম, ব্রাহ্মনপাড়া, পশ্চিম ছড়ারকুল, চৌধুরীহাট, বড়দীঘির পাড়, খিল্লাপাড়া, নন্দীরহাট, আমানবাজার, খোশাল শাহ মসজিদ রোড, বালুচরা ল্যাবরেটরি এলাকা, জালালবাদা ওয়ার্ডের উত্তর কুলগাঁও, কাঠালবাগান, রহমত আলী সারেংবাড়ি, বালুচরা করম আলী শাহ মসজিদ রোড, তুফানি সড়ক, পূর্ব কুলগাঁও খন্দকিয়া হাট, জমাদারপাড়া, কাজীপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনকে তাদের এলাকার নানা ধরনের সমস্যার কথা জানান। তারা বলেন, ‘গত ৫ বছরে আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কোনো দেখা পাইনি, আমাদের অভিযোগের কথাও কাউকে জানাতে পারিনি। এখানে পানি সংকট লেগেই থাকে, জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে এলাকা।
আ জ ম নাছির উদ্দীন তাদের অভিযোগ শুনে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের এলাকায় হয়েও প্রকৃতচিত্র গ্রামের মতোই। এখানে নাগরিক সুবিধার ছিটেফোটাও নেই। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আগামীতে উন্নয়নের জন্য আমাকে একবার সুযোগ দিন। আল্লাহর রহমতে আমি এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব।
দুপুর আড়াউটার সময় আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন শাহসুফি কাজী নুরুদ্দীন চিশতির মাজার জেয়ারত করেন। পরে আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এরপর মধ্যম কুলগাঁও আল আমিন মসজিদ সড়ক, খাজা রোড, খলিল শাহ রোড, জামশেদ শাহ রোড, মোহাম্মদ আহসানুজ্জামান সড়ক, কুলগাঁও মাইজপাড়া, অক্সিজেন ওয়াপদা গেইট, অক্সিজেন মোড়, শহীদনগর এলাকায় গণসংযোগ করেন।
গণসংযোগকালে আলহাজ্ব আ জম নাছির উদ্দিনের সাথে নগর আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ সালাম, সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভা-ারী, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা এম আলী অজগর চৌধুরী, স্থানীয় সাংবাদিক মোহাম্মদ রফিক, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনামুল হক, শাহজাহান রশিদ, কাজী আবদুল কদর, শামীম আহমেদ, নাসির আহমেদ, হাসান্নুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।