গভীর সাগরে অগ্নিকাণ্ডের পর অতলে হারিয়ে যায় আর্জেন্টিনার সাবমেরিনটি

0
48

৪৪ জন ক্রু নিয়ে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া আর্জেন্টিনার সেই সাবমেরিনটির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্তকারীরা বলছেন, দুর্ঘটনার পরপর এটি থেকে পাওয়া সংকেত থেকে তারা বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার করতে পেরেছেন।

আর্জেন্টিনার এআরএ সান জোয়ান সাবমেরিনটি ডুবে যায় গত বছরের ১৫ নভেম্বর। এরপর বহু সন্ধান করা হলেও আর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত সাবমেরিনটির সন্ধানে মোটা অংকের পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। তবুও এর কোনো সন্ধান মেলেনি।

তদন্তকারীরা বলছেন, সাবমেরিনটির ব্যাটারি ট্যাংকে আগুন লেগেই সম্ভবত সেটি বিপর্যস্ত হয়ে সাগরের আরো গভীরে ডুবে যায়। সে সময় আবহাওয়া অত্যন্ত বাজে থাকায় সাগরের গভীর দিয়েই সাবমেরিনটি না থেমে ঘাঁটির উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রাখে। তবে ধোঁয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্মীরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং বেঁচে থাকার আর কোনো উপায় ছিল না।

জার্মানির তৈরি ডুবোজাহাজটি উসুআইয়া থেকে রওনা হয়ে আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেস প্রদেশের উপকূলীয় শহর মার দেল প্লাতায় যাচ্ছিল। এ সময়েই হঠাৎ নিখোঁজ হয় সাবমেরিনটি।

আর্জেন্টিনার নৌবাহিনী জানিয়েছে, সাবমেরিনটি থেকে স্যাটেলাইট মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সে যোগাযোগের চেষ্টা তখন সফল হয়নি।

সাবমেরিনটির সন্ধানে দক্ষিণ আটলান্টিকে কঠিন ঝোড়ো পরিস্থিতির মধ্যেই বহুদিন তল্লাশি চালায়আর্জেন্টাইন নৌবাহিনী। তবে তাতে সাবমেরিনটির সন্ধান মেলেনি।

পাতাগোনীয় উপকূল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দূরে আর্জেন্টিনা সাগরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে শেষবার সংকেত পাঠিয়েছিল ডুবোজাহাজ এআরএ সান হুয়ান।

আর্জেন্টিনার নৌবাহিনীর তিনটি ডুবোজাহাজের মধ্যে এআরএ সান জোয়ান সবচেয়ে নতুন ছিল। এর রক্ষণাবেক্ষণে কোনো ত্রুটি ছিল, এমন তথ্য অস্বীকার করেছে আর্জেন্টিনা।