গর্ভবতী নারীর রোজা

0
128

শুরু হয়েছে মুসলাম ধর্মের সিয়াম সাধনার পবিত্রতম মাস রমজান। রোজা রাখা না রাখা নিয়ে সন্তান সম্ভবা নারীরা হয়ে পড়েছেন বেশ চিন্তিত। চিন্তার কোনো কারণ নেই। গর্ভবর্তী নারীরাও রোজা রাখতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মেডিকেল চেকআপ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা।

চিকিৎসদের পরামর্শ হলো, গর্ভবতী নারীদের বাড়তি যত্ন সব সময়ই দরকার। গর্ভবতী হলে রোজা রাখা যাবে কি না তা নিয়ে অনেক সময় তারা নানা সংশয়ে ভোগেন।

শুধু গর্ভবতী নারীরাই নন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও থাকেন উৎকণ্ঠায়। কিন্তু গর্ভবতী নারীদের রোজা থাকতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। রোজার আগে ডাক্তারের কাছ গিয়ে চেকআপ করানোটা খুব জরুরি।

পুষ্ঠিবিদদের পরামর্শ, গর্ভবতী মায়েরা যেহেতু সারাদিন কিছু খেতে পারবেন না তাই সেহরিতে পুষ্টিকর খাদ্য বেশি খেতে হবে। আর খাবারে দুধের প্রাধান্য রাখতে হবে। আর সেই সঙ্গে প্রোটিন যেমন ডিম, মাছ, মাংস পরিমাণ মতো খেতে হবে।

কারণ একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির প্রয়োজন বেশি। এক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়েরা রোজার আগে ডাক্তারের কাছ থেকে রোজার আগে ও পরের সময়ের খাদ্য তালিকা নিয়ে নিতে পারেন। এতে করে মা ও বাচ্চা দু’জনই সুস্থ  থাকবেন।

যেকোনো গর্ভবতী মায়ের রুটিন চেকআপ ছাড়াও রোজা শুরুর আগে তার চেকআপ করাতে হবে। কারণ মনে রাখতে হবে একজন গর্ভবতী নারী মানে  মা ও শিশু দু’জনই।

রমজানে গর্ভবতী মাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ১০ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। তবে গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুর কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকলে, বা  কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা হলে ইসলামী শরিয়া মতে সেই মায়ের রোজা না রাখলেও কোনো সমস্যা নেই।