গায়েবী আওয়াজ আমাকে বাঁচাও আমাকে বাঁচাও সুত্রধরে লাশ

0
121

শামসু উদ্দিন,টেকনাফ(কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
নিখোঁজ ২ রাখালকে পাহাড়ে খোঁজতে গিয়ে টেকনাফে উপকূলীয় এলাকা বাহারছড়ায় আমাকে বাঁচাও গায়েবী আওয়াজের সুত্রধরে এক অর্ধগলিত মহিলার লাশ মিলেছে। ইতি মধ্যে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, ৩০ এপ্রিল দুপুর আড়াই টারদিকে টেকনাফ বাহারছড়ার দক্ষিণ শীলখালী গ্রামের একদল মানুষ নিখোঁজ রাখাল স্থানীয় ছৈয়দ করিমের পুত্র মোঃ সেলিম উল্লাহ ও শহর মল্লিকের পুত্র আবুল কাশেমকে খুঁজতে “চৌকিদার পাড়া” গভীর পাহাড়ে যায়। হঠাৎ করে একটি পাহাড়ের গুহা হতে আমাকে বাঁচাও আমাকে বাচাঁও বলে আওয়াজ আসে। সাহায্য প্রার্থী মানুষের সাদৃশ্য আওয়াজ শুনে রাখাল খোঁজতে যাওয়া লোকজন গুহায় ছুটে গিয়ে এক অর্ধগলিত মৃত নারীর লাশ দেখতে পান। তারা বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে অবহিত করে।

কে হতে পারে বোরকা পড়া এ মহিলা। কেন তার লাশ পাহাড়ের গুহায়? এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।  তিনি এই বিষয়টি পুলিশকে জানালে থানা পুলিশের একটি পাহাড়ে গিয়ে উক্ত মহিলার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এই গহীন পাহাড় হতে এই অর্ধগলিত মহিলার লাশ উদ্ধার নিয়ে

স্থানীয় মেম্বার হাফেজ আহমদ উদ্ধারকৃত অর্ধগলিত লাশটি রোহিঙ্গা মহিলার হতে পারে বলে ধারণা করছে। মহান আল্লাহর লিলাখেলা কেও বুঝে আবার কেওবুঝেনা। এমনি এক দৃষ্টান্তের প্রমান পাওয়া গেছে কক্সবাজারের টেকনাফের উপকুলীয় পাহাড়ে। ।

বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, মহিলার অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে বিকালেই ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়। হাফেজ আহমদ মেম্বার মন্তব্য করে বলেন, নিহত মহিলা খুবই পরহেজগার। নাহলে আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে গায়েবী আওয়াজ হওয়ার পর তার মৃতদেহ খুঁজে পেল লোকজন।

উল্লেখ্য, গত ২৮এপ্রিল ছৈয়দ করিমের পুত্র মোঃ সেলিম উল্লাহ (১৫) ও শহর মল্লিকের পুত্র কাশেম (৫০) মহিষ খুঁজতে পাহাড়ে গেলে একদল স্বশস্ত্র পাহাড়ী দূর্বৃত্ত দলের খপ্পরে পড়ে নিখোঁজ হয়। উক্ত দূর্বৃত্তদল এই রাখালদের জন্য স্থানীয় মেম্বারের নিকট মুক্তিপণ দাবী করে। অবশেষে এই রাখালদের খোঁজতে গিয়ে লোকজন এই মহিলার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে অন্য একটি অসমর্থিতএকটি সুত্রে জানা গেছে,রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া ক্যাম্পে কিছু রোহিঙ্গা নারী বিভিন্ন এনজিও সংস্থায় চাকরী করে আসছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণকারী উগ্রপন্থী সংগঠন আরসা গ্রুপের লোকজন তাদের চাকরী না করার জন্য নিষেধ করে। উক্ত নারীরা নিষেধ অমান্য করে এনজিওতে চাকরী করার অপরাধে ৫/৬জন মহিলাকে গভীর রাতে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। অপহৃতের পরিবার ও স্বজনেরা প্রাণের ভয়ে উক্ত সংগঠনের সক্রিয় সদস্যদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেনা। সম্ভবত উদ্ধারকৃত মহিলার অর্ধগলিত লাশটি অপহৃত যেকোন মহিলার হতে পারে এমন ধারনা সাধারন মানুষের।