গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার, ফাঁসি না আত্মহত্যা: ধ্রম্রজাল!

0
171

 কক্সবাজার প্রতিনিধি। কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও- পোকখালী থেকে তুফা মনি নামের এক গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মৃতদেহটি ফাঁসি না আত্মহত্যা এ নিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ।

মেয়ে পক্ষের লোকজন দাবী করছে মারধর পুর্বক ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করছে, স্বামী পক্ষের লোকজন দাবী করছে নিজেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। ২০ মে সোমবার সন্ধ্যায় মৃতদহটি উদ্ধার করে পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম ইছাখালী এলাকা থেকে। ঘটনাটি বিকাল ৩ টার দিকে ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শাশুড়ি এবং এক ননদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের খোনকার খীল এলাকার আইয়ুবুর রহমানের মেয়ে নিহত তুফা মনির সাথে পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম ইছাখালী( হাইস্কুলের পুর্ব দক্ষিণ পাশ) এলাকার নজির আহমদের ছেলে সিএনজি চালক রেজাউল করিমের সাথে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক ৩ বছর আগে বিবাহ হয়। তাদের সুখের সংসারে রয়েছে এক কন্যা। দীর্ঘদিন সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসলেও ইত্যবসরে কয়েকদিন আগে থেকে তুফা মনিকে ইফতার তৈরীর অজুহাতে মারধর করে। মারধর বিষয় নিয়ে ২/৩ দিন ধরে তাদের মধ্যে ফের মনোমালিন্য শুরু হয়। এক পর্যায়ে ২০ মে সোমবার আবারো মারধর করে স্বামী রেজাউল করিম। এ মারধরের মাত্রা সহ্য করতে না পেরে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজ শয়ন কক্ষে উড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে উদ্ধার করে দ্রুত ঈদগাঁওস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। অপর দিকে তুফা মনির বাবা আইয়ুবুর রহমান,চাচী রেহেনা বেগমসহ স্বজনরা দাবী করেন তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালাচ্ছে শশ্বর পক্ষের লোকজন। ঘটনার পর থেকে স্বামী রেজাউল করিম পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামানের নির্দশে এসআই সনজিত চন্দ্র নাথ,এএসআই বিলাশ সরকারসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। জানতে চাইলে এসআই সনজিত চন্দ্র নাথ জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। তার শরীরে তেমন কোন আঘাত চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গলায় উড়না পেছানোর আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে হত্যা না আত্মহত্যা জানা যাবে। এদিকে তুফা মনির মৃতদেহ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসার খবর পেয়ে তার স্বজনরা ভীড় জমান। তাদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। জানতে চাইলে ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জড়িত সন্দেহে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।