গোয়ালন্দের সেই ওসির ১৪ বছর কারাদণ্ড

0
201

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের দুই মামলায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানার সাবেক ওসি (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলামকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম অনুকে এক মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এক মামলায় সাইফুল ইসলামকে সাত বছর ও তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম অনুকে দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে সাইফুল ইসলামকে তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর জাকিয়া ইসলাম অনুকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের আরেক মামলায় সাইফুল ইসলামকে পৃথক দুই ধারায় মোট সাত বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আসামি সাইফুল ইসলামের মোট কারাদণ্ড ১৪ বছর হলেও কারাদণ্ডাদেশ একসঙ্গে কার্যকর হওয়ায় তার সাত বছর কারাভোগ করতে হবে।

আদালত সূত্র জানায়, দুদকের নোটিশের পর ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সাইফুল ইসলাম সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। সেখানে তিনি নিজ নামে, স্ত্রী ও পোষ্যদের নামে অর্জিত সর্বমোট ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ২১ টাকার সম্পদ গোপন করে কমিশনে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন।

একই সঙ্গে সাইফুল ইসলাম ২ কোটি ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রেখেছেন মর্মে দুদক সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা করে তথ্য পায়। এ অভিযোগে সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম অনুকে আসামি করে ২০১০ সালের ২২ জুন রাজধানীর রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়।

এ ছাড়া একই দিন ওই থানায় সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমিশনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৯২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক আরেকটি মামলা করা হয়। ২০১১ সালের ৪ অক্টোবর এ দুই মামলায় আসামিদের বিচার শুরু করেন আদালত।