চকরিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার ৮৬ উত্তরপত্র ছেঁড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দাখিল

0
97

মুহাম্মদ জিয়াউদ্দীন ফারুক,চকরিয়া
চকরিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি‘১৪ পরীক্ষার্থীদের ৮৬ উত্তরপত্র ছিঁেড় ফেলার ঘটনা তদন্তে গঠিত দুটি কমিটি ইতোমধ্যে চট্রগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে চেয়ারম্যানের কাছে পৃথকভাবে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছে। প্রতিবেদন সুত্রে কর্মকর্তারা জানান, উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলা ৮৬ পরীক্ষার্থীকে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে হবে। অথবা ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরীক্ষার্থীরা দ্বিতীয়পত্রের সমান নম্বর পেতে পারেন। সুত্র জানিয়েছেন, এব্যাপারে দিকনির্দেশনা চেয়ে চট্রগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের কাছে সারসংক্ষেপ পাঠাবে। গত ৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্টিত এসএসসি পরীক্ষার প্রথমদিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষার ৮৬টি রচনামুলক উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলে বিক্ষুদ্ধ পরীক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শিক্ষাবোর্ড ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে।
জানতে চাইলে চট্রগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড.পীযূষ দত্ত বলেন, একত্রে এতগুলো উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা আর ঘটেনি। তাই এসব পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের কাছে সিদ্বান্ত চাওয়া হবে। মন্ত্রানালয় থেকে যে সিদ্বান্ত দেওয়া হবে তা অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে টেবুলেশন নীতিমালা অনুযায়ী কোন পরীক্ষার্থীর প্রথম বা দ্বিতীয়পত্রের খাতা হারানো কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে একই বিষয়ে অপরপত্রে যে নম্বর পাবে সেই পত্রের সমান নম্বর দেয়া হয়ে থাকে। তবে কাদের উত্তরপত্র ছেঁড়া গেছে তা না জানায় সংশয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীরা ।
সুত্র জানায়, চট্রগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের তদন্ত টিমের দেয়া প্রতিবেদনে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে শিক্ষকদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ৮৬ উত্তরপত্র ছেঁড়ার ঘটনায় নীল শার্ট পরিহিত শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। নীল শার্ট চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের ইউনিফর্ম বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুল শিক্ষকদের দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে মাদ্রাসা শিক্ষকদের দায়িত্ব দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ৯ ফেব্রুয়ারী চকরিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা বাংলা প্রথম পত্রের রচনামূলক ৮৬ উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলে। এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব নুরুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।