চট্টগ্রামে বাংলা একাডেমির বইমেলা, অভিধানের চাহিদা বেশি

0
35

৬০০ শিরোনামের ২০ হাজার বই নিয়ে চট্টগ্রামে শুরু হলো বাংলা একাডেমির বইমেলা। সৃজন ও মননশীল সব বই থাকলেও একাডেমির অভিধানগুলোর প্রতিই পাঠকের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে।

রোববার (২২ এপ্রিল) এমএম আলী সড়কের জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপন মনোজ সেনগুপ্ত, কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, শিশুসাহিত্যিক-সাংবাদিক রাশেদ রউফ, লেখিকা ড. আনোয়ারা আলম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমু। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ।

বাংলা একাডেমি অবিস্মরণীয় অবদান রাখছে উল্লেখ করে ড. অনুপম সেন বলেন, তরুণ প্রজন্মকে বইমুখী করতে বইমেলার বিকল্প নেই। তরুণ প্রজন্মকে ভালো বাংলা জানতে হবে। অন্যভাষা চর্চা করুক সমস্যা নেই। কিন্তু মাতৃভাষা ভালো জানতে হবে। মাতৃভাষার অগ্রগতি ছাড়া কোনো জাতি এগোতে পারে না।

মনোজ সেনগুপ্ত বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে সব বড় বড় আন্দোলনে চট্টগ্রামের মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। চট্টগ্রামে বাংলা একাডেমির বইমেলা তাৎপর্য অনেক বেশি।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, প্রতিবছর চট্টগ্রামে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে বইমেলা করা হবে। আট দিনের এ বইমেলায় ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশনে বই বিক্রি হবে।

এর আগে সকালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ হুলাইন গ্রামে পুঁথি গবেষক ইসহাক চৌধুরী পরিচালিত পুঁথি সংগ্রাহক আবদুস সাত্তার চৌধুরী পুঁথিশালা পরিদর্শন করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক, গবেষক আহমদ মমতাজ, মুক্তিযুদ্ধের গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক, ছড়াকার ইসমাইল জসীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।