চট্টগ্রামে ভয়াবহ লোড শেডিং সিএমসিসিআই পর্ষদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

0
64

গত ৫ বছরে সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রগতি হওয়ায় ব্যবসায়ী সম্প্রদায় সহ সকল স্তরের জনগন কিছুটা আশ্বস্ত হচ্ছিল, যদিও উলে¬খযোগ্য সুফল ভোগী রাজধানী বাসী। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ফলে আবারও ঘন্টার পর ঘন্টা অসহনীয় লোড শেডিং জন-জীবন অতীষ্ঠ করে তুলছে। একই ভাবে পাল¬া দিয়ে প্রয়োজনীয় গ্যাসের অভাবে শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ফলে সকল স্তরের উদ্যোক্তারা চিন্তিত এবং বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অবস্থা তুলনামূলক ভাবে আরও শোচনীয়। রাউজানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্যাংকারের বিস্ফোরন এর ফলে উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় চাপ না থাকায় বন্দর নগরীর সিএনজি ষ্টেশন সমূহে গ্যাসের জন্য যানবাহন সমূহ দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। শিল্প কারখানায় এক দিকে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ কম হওয়ার ফলে পূর্ন মাত্রায় উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না, আবার উৎপাদিত পন্যের গুনগত মান বজায় রাখা যাচ্ছে না। ফলে রপ্তানীমূখী উদ্যোক্তাগন আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

এমনিতেই চট্টগ্রামের শত শত উদ্যোক্তা হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বছরের পর বছর গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে উৎপাদনে না যেতে পেরে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। চাহিদার মাত্র অর্ধেক বিদ্যুৎও গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের লোড শেডিং রাজধানী ঢাকার সম মাত্রায় না রাখা হলে এ অঞ্চলের শিল্প উদ্যোক্তারা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতি অবনতির ফলে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।

সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষ যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে জনগনের অসহনীয় ভোগান্তি লাঘবে এগিয়ে আসবে এমন বিশ্বাস থাকলেও বড় বড় পূঁজি বিনিয়োগকারী উদ্যোক্তাগন দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারছে না। আমরা আশা করি যে, সরকার দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থা ও উদ্বেগ লাঘব করে অতি দ্রুত পরিস্থিতি উন্নতির জন্য এগিয়ে আসবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চট্টগ্রামের জন্য আলাদা নতুন একটি সরবরাহ লাইন স্থাপন না করা পর্যন্ত গ্যাস সংকটের সুরাহা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় বিষয়টি অতীব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।