চট্টগ্রাম চেম্বার স্টেকহোল্ডারদের মতবিনিময় সভা

0
42

ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বাংলাদেশ ট্রেড পলিসি সাপোর্ট প্রোগ্রাম (বিটিপিএসপি)’র আওতায় সমন্বিত বাণিজ্য নীতিমালার খসড়ার উপর স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে ১৬ জুন সকালে বিটিপিএসপি ও দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র যৌথ আয়োজনে চেম্বার মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে এতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রধান অতিথি ও বিটিপিএসপি’র প্রজেক্ট ডিরেক্টর ফকির ফিরোজ আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় খসড়া বাণিজ্য নীতিমালার উপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বিটিপিএসপি’র ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ড. মোঃ আবদুস সালাম। এ সময় চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ মোঃ এম. এ. মোতালেব, মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মোঃ জহুরুল আলম, মোঃ রকিবুর রহমান (টুটুল) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি চীফ মোঃ মোসলেহ উদ্দিন, সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তাগণ বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে আগামী ৬ বছরের মধ্যে ১০% জিডিপি অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে কর্মভিত্তিক শিক্ষা দানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে শ্রমঘন শিল্পায়ন প্রয়োজন। যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবহন খরচ কমানো বিশেষ করে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। তিনি সরকার, এনজিও এবং প্রাইভেট সেক্টরসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে মনে করেন।

স্বাগতঃ বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক চুক্তিসমূহ দক্ষতার সাথে সম্পাদন এবং তা বাস্তবায়নে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি খাতভিত্তিক নীতিমালার ক্ষেত্রে বাণিজ্য সুরক্ষা ও বাণিজ্য সুবিধা নিশ্চিত করা না গেলে কাংখিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন। চেম্বার সভাপতি বাণিজ্য ভিত্তিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র বিমোচন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে একটি সমন্বিত বাণিজ্য নীতি প্রণয়ন আরো আগে করা উচিত ছিল মন্তব্য করে বিভিন্ন সেক্টরের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে ননট্রেডিশনাল আইটেমসহ রপ্তানি ঝুড়িকে আরো সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথি বিটিপিএসপি’র প্রজেক্ট ডিরেক্টর ফকির ফিরোজ আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বাণিজ্য নীতি প্রণয়নে স্পেশালিস্ট নিয়োগ এবং কানেক্টিভিটি প্রশ্নে টেকনিক্যাল কেপাবিলিটি বাড়ানোর সাথে সাথে দক্ষ জনশক্তি তৈরীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। তিনি বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উদ্যোক্তাদের হয়রানী রোধসহ রপ্তানী বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইনসেনটিভ চালু করার প্রয়োজনীয়তা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের গুরুত্ব উল্লেখ করেন। চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় মৌসুমের সময় ৩/৪ মাস মেয়াদী ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করেন এবং কৃষি পণ্য সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারী উদ্যোগ কামনা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি চীফ জনাব মোঃ মোসলেহ উদ্দিন, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, জাপানের অনারারী কনস্যূল জেনারেল মোঃ নুরুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, বিকেএমইএ’র সাবেক পরিচালক শওকত ওসমান, বর্ষীয়ান ট্রেডবডি নেতা তাহের সোবহান এবং ক্ষুদ্র পাদুকা শিল্প মালিক গ্র“প’র প্রাক্তন সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম।