চট্টগ্রাম থেকেই সরকার পতনের সূচনা হবে

0
77

চট্টগ্রাম থেকেই সরকার পতনের সূচনা হবেঈদের পর চট্টগ্রাম থেকেই আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের পতন আন্দোলনের সূচনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খাঁন।

তিনি মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগর বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল চট্টগ্রাম থেকে মাষ্টার দা সূর্যসেনের হাত ধরে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল চট্টগ্রাম থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে ঠিক তেমনি আওয়ামী বাকশাল সরকারের পতনের সূচনা ঘটবে চট্টগ্রাম বিএনপির আন্দোলনের মাধ্যমে।

দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে বলে উল্লেখ বলে মোরশেদ খাঁন বলেন, এ সরকারের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। তাই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে তাড়াতে হবে।

নগরীর জিইসি’র কনভেনশন সেন্টারে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলম, সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, এম এ হালিম, দৈনিক কর্ণফুলীর সম্পাদক আফসার উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, মো. শামসুল আলম, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

দেশ গভীর সংকটে পড়েছে বলে উল্লেখ করে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ঈদের পর বিএনপির কাজ হচ্ছে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী আওয়ামী সরকারকে রুখে দেওয়া। তারা ভারতের দালালি করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য ভারতকে তালপট্টি উপহার দিয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র শাসনকালে চট্টগ্রামে এক সভায় বলেছিলেন তালপট্টি আমাদের, সেখানে একদিন বাংলাদেশের পতাকা উড়বে। তাই এখন বিএনপির দরকার এ তালপট্টি উদ্ধারে কাজ করা। ইনশাল্লাহ বিএনপি ক্ষমতায় এলে তা পুনরায় উদ্ধার করা হবে।

সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম বলেন, দেশনেত্রী যে আন্দোলনের ডাক দেবেন তা বুকে লালন করে দেশবাসীকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে চট্টগ্রাম থেকে এ সরকারের পতন ঘটানো হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, দেশের মানুষ এ অবৈধ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়। তাই দেশবাসী কোন ধরনের আন্দোলন চায় তা দেখতে হবে। তাদের মানসিকতার সাথে মিল রেখে সাধারন জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

দেশে আওয়ামী লীগ মাঠে নেই, আওয়ামী সন্ত্রাসীও কম কিন্তু আন্দোলন শুরু হলে তারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদেরকে লেলিয়ে দেয় বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। শুধু রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীরা নয় বিদেশি সন্ত্রাসীরাও এতে যোগ দেয়। একটি দেশের একটি গৌষ্ঠীকে তারা বিভিন্নভাবে খুশি করে প্রহসনের নির্বাচন করেছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য এখন নতুনভাবে সে দেশের অন্য গোষ্ঠীকে খুশি করতে ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করছে।

তিনি বলেন, আমরা তীব্র আন্দোলন করায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন মানুষ প্রতিহত করেছে এবং বর্জন করেছে। আগামীতে জনগণই আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে আনবে। চট্টগ্রামে পূর্বেও তীব্র আন্দোলন হয়েছে, ইনশাল্লাহ আগামীতেও এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।