চট্টগ্রাম থেকে ১ হাজার ৬৫ কি.মি.দূরে অবস্থান করছে ফণী

0
84

আজ বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অফিস সবশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর/উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ৩রা মে বিকেল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে অতিক্রম করতে পারে। সন্ধ্যা নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে খুলনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছাতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ৩রা মে সকালে থেকে খুলনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ‘ফণী’র প্রভাব শুরু হতে পারে।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। শনিবার সকাল নাগাদ আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশের উপকূলে। এই আশঙ্কায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিপ্তর।

ঘূর্ণীঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।।