চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদের সভা

0
77

বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদের এক সভায় বন্দরে চলমান আন্দোলনের অগ্রগতির সার্বিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা সভায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের প্রস্তাব অনুযায়ী অবিলম্বে আন্দোলন নিয়ে বৈঠকের দিনক্ষন নির্দিষ্ট করার জন্য তার প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বন্দর রক্ষা পরিষদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে আন্দোলন নিয়ে বিস্তারিত অবহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় বন্দর রক্ষা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রদত্ত এক মাসের আলটিমেটাম সময়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্ত না দেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি নৌ-পরিবহন মন্ত্রী চট্টগ্রামে এসে আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভায় মত ব্যক্ত করা হয় যে, আগামীতে ‘সাইফ পাওয়াটেক হঠাও, বন্দর বাঁচাও আন্দোলন আরো তীব্র থেকে তীব্রতর করা হবে। অবৈধ ঠিকাদার সাইফ পাওয়াকে কালো তালিকা ভূক্ত, জরিমানা আদায় করে বন্দর কার্যক্রম থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে অন্যান্য আরো দুর্নীতির ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে উৎঘাটিত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যায়ভাবে যাদেরকে বন্দর থেকে বদলী করা হয়েছে তাদেরকে পুনঃবহালে বন্দর কর্তৃপক্ষকে আশু ব্যবস্থা নিতে হবে।

বন্দর রক্ষা পরিষদের আহবায়ক এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বন্দর রক্ষা পরিষদের সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান খান, বন্দর ডক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইসকান্দর মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ, ষ্টাফ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর, বন্দর কর্মচারী পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদুল আলম বকুল, গোলাম দস্তগীর, ল্যাসিং আন ল্যাসিং শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সেলিম, মার্চেন্ট শ্রমিক ইউনিয়রে যুগ্ন সম্পাদক ছালে জঙ্গি প্রদীপ, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন দোভাষ।