চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের নবীনবরণ সম্পন্ন

0
462

 

পতেঙ্গায় ওয়ার্ল্ড ভিশন এর উদ্যোগে শিশুদের মিলনমেলাবৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ এবং চট্টগ্রাম সিটি পাবলিক কলেজ আয়োজিত এই বছর ভর্তিকৃত নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান-২০১৫ নগরীর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শাহ আলম বীর উত্তম হলে সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোহাম্মদ জাহেদ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট লায়ন সৈয়দ মোর্শেদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ আবু জাফর চৌধুরী, মোহাম্মদ মুসা শিকদার, ছাফা মোতালেব হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন লিটন, নাসির হাসান, মো. সাজ্জাদ উদ্দিন, জহরলাল ভট্টাচার্য, মো. ইউনুছ, মো. খোরশেদুল আলম, জিয়াউদ্দিন জিসান, কাজী আতিকুর রহমান, মো. ফাহাদ পারভেজ, মো. ফরিদ-উল-আলম প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে লায়ন সৈয়দ মোর্শেদ হোসেন বলেন, নবীণ শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আরো সজাগ এবং পরিশ্রমী হবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। সভাপতি ড. মো. জাহেদ খান তার বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৮তম স্থানধারী চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ সেবার মান বিচারে শীর্ষস্থানীয় কলেজ। এ বছর অত্র কলেজের পাসের হার চট্টগ্রাম কলেজ ও সরকারি সিটি কলেজ হতে বেশি ছিল। চট্টগ্রামে যেখানে অধিকাংশ কলেজ শিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ সেখানে সর্বাধুনিক সময়োপযোগী ডিজিটাল সার্ভিস প্রদান করছে। সময়মতো ক্লাস, পরীক্ষা, রিভিউ ক্লাস, প্রজেক্টর ব্যবহার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম, অটো এসএমএস সার্ভিস অভিভাবক সাক্ষাতৎকার, সুবিশাল প্র্যাকটিকাল সুবিধা, আইসিটি সুবিধা ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সময় পড়ালেখামুখী করে রাখে। যাতে তারা ভিন্ন কোনো বাজে কাজে সময় নষ্ট করতে না পারে। চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ চকবাজারস্থ মতি টাওয়ার ভবনে সর্ববৃহৎ স্থান নিয়ে সকল সেবা সুনিশ্চিত করেছে যা চট্টগ্রামে বিরল ব্যাপার। নবীন শিক্ষার্থীদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রফেসর মুহাম্মদ আবু জাফর চৌধুরী। শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গঠনের শপথ পড়ান। নবীন শিক্ষার্থীরাও ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ সেবা পাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। শাহ জোবায়ের হোসেন এবং রুমানা আহমেদ এর উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়। শেষে ছাত্র-ছাত্রীরাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান ও নৃত্য করেন। জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘বিন্দু’ গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।