চট্টগ্রাম-মদিনা-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু

0
285

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম-মদিনা-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। চট্টগ্রামের লোকজন আরও বেশি ধর্মপ্রাণ। অনেকে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা করেন। তারা হজ, ওমরা ও নবীজীর রওজা জেয়ারতে যান। তাদের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম-মদিনা ফ্লাইট চালু করছি। ভ্রমণ সহজ, আরামদায়ক হবে। শতাধিক উড়োজাহাজ বিমানের বহরে যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। বিমান, সিভিল এভিয়েশনকে দুর্নীতিমুক্ত করতে বড় অভিযানে যাবো। কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর ও কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম-মদিনা-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতি বৃহস্পতিবার ফ্লাইটটি চলাচল করবে।

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে ও পরে লক্ষ্য করেছি সাংবাদিকদের মধ্যে উদ্বেগ বিমানকে নিয়ে। আমি এটি পজিটিভলি নিয়েছি। এটি চ্যালেঞ্জিং ক্যারিয়ার আমার জন্য। যে জাতি যুদ্ধ জয় করতে পারে তাদের পক্ষে বিমানকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বিমানকে নাড়া দিতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সৈয়দপুরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপ দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছে। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। নভেম্বর থেকে শাহজালালে থার্ড টার্মিনালের কাজ শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী বিমানকে ভালোবাসেন। বিমান যাতে মাথা উঁচু করে চলে সেজন্য আরও ৯ সিরিজের দুইটি ড্রিম লাইনার আসছে। এপ্রিল-জুনে ২৭৩ কোটি টাকা লাভ করেছি। জানুয়ারি থেকে বিমানবন্দরের চার্জ, বিপিসির পাওনা পরিশোধ করে আসছি।

বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামবাসীর অত্যন্ত প্রত্যাশিত ছিল পবিত্র ভূমি মদিনায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর। আর্থ সামাজিক ভূমিকা আছে এ রুটের। কানেকটিভিটি বাড়ছে। অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের এভিয়েশন সেক্টর এগিয়ে যাচ্ছে। বিমান লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।

শাহ আমানতের রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এয়ারপোর্টে অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসছে। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। অর্থনৈতিক ও পর্যটনের বিষয় মাথায় রেখে বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন হচ্ছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, বিমান ৪৬ বছর আগে যাত্রা শুরু করে। আমাদের নিজস্ব ১০টি আধুনিক বিমান আছে। এর বাইরে ৬টি এয়ার ক্রাফট ভাড়ায় নেওয়া। ২৮ অক্টোবর ঢাকা-মদিনা ফ্লাইট চালু হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ব্যবসায়িক ও ধর্মীয় কারণে যারা মদিনা যান তারা উপকৃত হবেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইট সরাসরি যাচ্ছে। ঢাকা থেকে চেন্নাই, কলম্বো, গুয়াংজু ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আরও দুইটি নতুন ড্রিমলাইনার ডিসেম্বরে যুক্ত হবে। তখন নতুন নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিমানের উপ মহাব্যবস্থাপক (পিআর) তাহেরা খোন্দকার।

উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার ই জামান, বিমানের চট্টগ্রাম জেলা ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হাসান প্রমুখ।

টিকিটে ১৫ শতাংশ ছাড়

২৬৫ জন যাত্রী নিয়ে দুপুর সোয়া ১টায় চট্টগ্রাম-মদিনা রুটের বিজি-১৩৭ ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করে। মদিনা থেকে ফিরতি ফ্লাইট বিজি-১৩৮ মদিনার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ১২০ জন যাত্রী নিয়ে পরদিন ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে।

মদিনা ফ্লাইট চালু উপলক্ষে যাত্রীদের জন্য ১৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে টিকিটে। বিমানের সব সেলস সেন্টার, ট্রাভেল এজেন্ট, বিমানের ওয়েবসাইট ও কল সেন্টারে টিকিট পাওয়া যাবে।