চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিলসহ দুটি বিল পাস

0
108

দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে পৃথক দুটি বিল পাস হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ মে) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৬’ ও ‘রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৬’ নামের বিল দুটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। তবে তাদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

ওই প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হলে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হবে। যার মাধ্যমে আরো দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করতে গত বছর বিল দুটি অনুমোদন করে মন্ত্রীসভা। বিলটি পাস হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে বিদ্যমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবহার করা যাবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে পাস হওয়া বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমানে দেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’ একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। আইন দুটি কার্যকর হলে আরো দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এবং ওই দুটি অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি অন্য মেডিকেল কলেজগুলো এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হবে। যেগুলো এতদিন চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। বিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের গঠন ও ক্ষমতা, ইউজিসির (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) এখতিয়ার এবং পাঠদান পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলের বিধান অনুযায়ী, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদান করা হবে। সাধারণত ব্যাচেলর ডিগ্রি কলেজ পর্যায়ে পড়ানো হলেও নার্সিংয়ের ব্যাচেলর ডিগ্রি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হবে। যা একটি ব্যতিক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর (আচার্য) হবেন রাষ্ট্রপতি। চার বছরের জন্য ভিসি (উপাচার্য) নিয়োগ দেয়া হবে। একজন সর্বোচ্চ পর পর দুই মেয়াদে ভিসি থাকতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোভিসি থাকবেন একজন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ দেয়া হবে।

পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ হিসেবে থাকবে সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, ফ্যাকাল্টি, ডিনস কমিটি, কারিকুলাম কমিটি, ফাইন্যান্স কমিটি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সিন্ডিকেটের সভাপতি হবেন ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি)। এছাড়া সিন্ডিকেটে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধি রাখা যাবে।