চট্টগ্রাম ১১ আসনের সংবর্ধনা পরিষদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র- নাছির

0
78

আ জ ম নাছির উদ্দীন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, উপকূলীয় এলাকা সুরক্ষায় জাইকার মাধ্যমে রিং রোড ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, পতেঙ্গা এবং পারকিকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র উন্নয়নে সরকার ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করেছে। মেয়র বলেন, পতেঙ্গা হালিশহর নগরীর অতীব গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এ এলাকায় জাতীয় শিল্প, তেল স্থাপনা, নৌ-বিমানঘাটি ছাড়াও ইপিজেড ও বন্দর অবস্থিত। দেশের রপ্তানী আয়ের সিংহভাগ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। তিনি বলেন, পতেঙ্গা হালিশহরের অধিবাসীদের জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় স্থানীয়দের চাকুরীতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মেয়র বলেন, তেল স্থাপনা, ইষ্টান কেবলস, ড্রাইডক, টিএসপি, জিইএম কো: সহ সকল কল কারখানায় অস্থায়ীভাবে চাকুরীতে নিয়োজিতদের খালি পদে চাকুরী স্থায়ী করতে হবে। ১৭জুন ২০১৫খ্রি. বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম ১১ আসন মেয়র সংবর্ধনা পরিষদ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি সিটি মেয়র এ সব কথা বলেন। কর্ণফুলী ইপিজেড চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম ১১ আসন মেয়র সংবর্ধনা পরিষদের চেয়ারম্যান কাউন্সিলর আলহাজ্ব ছালেহ আহমদ চৌধুরী। পরিষদের সদস্য সচিব মো. ফরিদুল আলমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় সংবর্ধিত অতিথি সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম ১১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এম আবদুল লতিফ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা সফর আলী, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুজ্জামান বুলু, কাউন্সিলর হাজী জয়নাল আবেদিন, জিয়াউল হক সুমন, সাহানুর বেগম, সাবেক কাউন্সিলর আবদুল বারেক, মোহাম্মদ আসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল হালিম, এ.এম.এম ইসলাম, নুরুল আলম, আবদুর রহিম, শাহদাত হাসান, শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ ইউনুছ, মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ। সংবর্ধিত অতিথি সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরীকে অপরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে চাই। এ লক্ষে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মেয়র বলেন, ১ আগষ্ট থেকে রাত্রিকালিন সময়ে আবর্জনা অপসারন এবং প্রতিটি খাল ও নালা-নর্দমা থেকে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন এবং অপসারন করে পানি চলাচলের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। জনাব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডে সর্বস্তরের নাগরিকদের সাথে মতবিনিময় করে ওয়ার্ড ভিত্তিক সমস্যা নিরুপন করে কর্মপরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা হবে। নাগরিকদের সৃষ্ট ময়লা-আবর্জনা নির্ধারিত ডাষ্টবিনে নির্দিষ্ট সমযের মধ্যে ফেলার জন্য ক্যাম্পেইন করা হবে। নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে নগরীকে দুর্গন্ধমুক্ত পরিবেশ সম্মত নান্দনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
চট্টগ্রাম ১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পতেঙ্গা হালিশহর শিল্পাঞ্চলকে মডেল অঞ্চলে উন্নিত করা হবে। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান সহ মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত চট্টগ্রামে পরিণত করা হবে। সাংসদ লতিফ বলেন, উন্নয়নের পূর্বশত হলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা। সিটি মেয়রের নেতৃত্বে অচিরেই চট্টগ্রাম শান্তি ও স্থিতিশীল অঞ্চলে পরিণত হবে। অনুষ্ঠানে নব নির্বাচিত সিটি মেয়রকে ক্রেস্ট প্রদান সহ ফুলে ফুলে অভিনন্দিত করা হয়।