চট্টলাবাসী একজন আদর্শবান অভিভাবক হারালো

0
76

জননেতা মরহুম মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া স্মৃতি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন কালে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা গণপরিষদ ও সংসদ সদস্য, দেশের বর্ষীয়ান ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ মরহুম জননেতা ইসহাক মিয়া স্মরণে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদ এবং চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত স্মৃতির পাতায়, শ্রদ্ধার শ্রেষ্ঠ জায়গায় প্রিয় নেতা প্রিয় অভিভাবক জননেতা ইসহাক মিয়া স্মৃতি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন গত ২৫ জুলাই ২০১৭ খ্রি. সন্ধ্যা ৭ টায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সদস্য বেলাল আহমদ, দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল মান্নান ফেরদৌস, দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল বরাত রনি, চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের সাধারণ সম্পাদক মো. আসিফ ইসবাল, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সালাউদ্দিন লিটন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য বোরহান উদ্দিন গিফারী, লেখক হাসান পারভেজ ও রাশেদ মাহমুদ পিয়াস প্রমুখ। মোড়ক উন্মোচনে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জননেতা আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামের রাজনীতিতে জননেতা ইসহাক মিয়া ছিলেন এক জীবন্ত কিংবদন্তী তুল্য অভিভাবক। মৃত্যুর শেষ দিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে এবং দেশের মানুষের জন্য নিজের সাধ্য অনুযায়ী ভূমিকা রেখে গেছেন। দেশের গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সামনে থেকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। কোন রকম লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ যার রাজনীতিতে ছিল না। একজন স্পষ্টবাদী এক সাহসী রাজনীতিবিদ সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। জীবনে কয়েকবার ক্ষমতায় থেকেও ব্যক্তিগত জীবনে বলতে গেলে তেমন কোন অর্থ-বিত্ত বা বাড়ী গাড়ী রেখে যায়নি। আমার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় অভিভাবক রাজনীতির প্রতিটি বিষয়ে আমাকে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়েছেন। আমাকে আজকের অবস্থানে প্রতিষ্ঠা করার পেছনে এই মহান নেতার ভূমিকা আমি কখনো ভুলবনা। চট্টগ্রামে সকল উন্নয়নে যিনি নিজ থেকে সাধ্যানুযায়ী এগিয়ে আসতেন। শারীরিক অসুস্থতা স্বত্ত্বেও এই গুণী রাজনীতিবিদ স্বাধীনতা স্বপক্ষের তথা আওয়ামী রাজনীতির সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন। সরকারের উন্নয়ন কর্মকন্ডে তিনি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ভূমিকা রাখতেন। মৃত্যুর ২দিন আগেও তাঁকে বাসায় দেখতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু এখনো মনে হয়নি আমাদের এই প্রিয় অভিভাবক আমাদের থেকে চলে গেছেন। তিনি আরো বলেন, আদর্শ স্বচ্ছতায় রাজনীতিতে জননেতা ইসহাক মিয়া এ প্রজন্মের সকলের কাছে খুবই জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত ছিল। ত্যাগী এই রাজনীতিবিদের শূণ্যতা চট্টলাবাসী কখনো পূরণ করতে পারবেনা। চট্টলাবাসী একজন আদর্শবান অভিভাবক হারালো। জাতির একজন শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ইসহাক মিয়ার জীবন কর্ম থেকে আমরা প্রত্যেকে মানবীয় মানুষ হওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। দেশপ্রেম এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ফেরিওয়ালা জননেতা ইসহাক মিয়ার শারীরিক মৃত্যু হলেও আদর্শিক ইসহাক মিয়া চিরঞ্জীব। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এই মহান নেতার সম্মানে কয়েক ঘন্টা সময়ের মধ্যে এরনামে একটি স্মৃতি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করার জন্য নেতৃবৃন্দদের ধন্যবাদ জানান। সভা শেষে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জননেতা মরহুম ইসহাক মিয়া স্মরনে রচিত স্মৃতি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন করেন।