চবিতে ১৬৮.৫০ কোটি টাকার বাজেট,গবেষণায় মাত্র ১০ লাখ!

0
86


শহিদুল সুমন, চবি>>

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চবি সিনেটে প্রায় ১৬৮ কোটি টাকার বাজেট পেশসিনেট অধিবেশনে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২৪ হাজার শিক্ষার্থী ও প্রায় ৯শ শিক্ষকের গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সভা কক্ষে চবি সিনেটের ২৬ তম বার্ষিক অধিবেশনে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়। অধিবেশনে ১৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট পেশ করা হয়। একই সাথে ১৫৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার ২০১৩-১৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও পাশ করা হয়। এদিকে গবেষণা খাতে এত কম বরাদ্দ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, প্রায় দুই যুগ ধরে নির্বাচন না হওয়ায় অকার্যকর রয়েছে চবি সিনেট।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি’র নিকট ১৯৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার চাহিদা বাজেট প্রদান করে। এর বিপরীতে ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়সহ) ১৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট বরাদ্দ দেয়। যেখানে চাহিদা ও বরাদ্দের মধ্যে পার্থক্য হল ২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সিন্ডিকেট ও ফাইন্যান্স সভায় ইউজিসি থেকে প্রাপ্ত মোট টাকাকে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়। উল্লেখযোগ্য খাতগুলো হল, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন খাতে ১০৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, পেনশন খাতে ৩১ কোটি টাকা, সাধারণ আনুসঙ্গিক খাতে ১৪ কোটি টাকা, শিক্ষা খাতে ১২ কোটি টাকা, মেরামত, সংরক্ষণ ও পুর্ণবাসন খাতে ২ কোটি টাকা এবং মুলধন মঞ্জুরী (সম্পদ সংগ্রহ ও ক্রয়) খাতে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এদিকে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের জন্য চবি কর্তৃপক্ষ ইউজিসি’র নিকট ১৭৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার সংশোধিত চাহিদা প্রদান করে। যার বিপরীতে ইউজিসি সংশোধিত বরাদ্দ দিয়েছে ১৫৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। যার মধ্যে বেতন খাতে ৯৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, পেনশন খাতে ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
চাহিদার তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে প্রাপ্ত বাজেট খুবই অপ্রতুল বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ। সিনেট অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ইউজিসি প্রতিবারই চাহিদার চেয়ে অনেক কম বরাদ্দ দিয়ে থাকে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে গবেষণা, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন কাজ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ করা সম্ভব হয় না।