চবি শাটল ট্রেন অবরোধ করেছে ছাত্রলীগের একাংশ

0
99

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেন অবরোধ করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।

রোববার নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী দুই ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ট্রেন অবরোধের পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাস চলাচলও বন্ধ করে দেয় ছাত্রলীগের ওই অংশটি। যার কারণে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে পড়ে কার্যত অচল। অনুষ্ঠিত হয়নি কোনো ক্লাস পরীক্ষা। শিক্ষকবাস বন্ধ থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষকই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেননি।

সোমবার ভোর সাড়ে ছয়টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম হাটহাজারী সড়কের নন্দীরহাট, ফতেয়াবাদ, চৌধুরী হাট এলাকায় অবস্থান নেয়। এসব স্থানে তারা শিক্ষকদের আনতে যাওয়া প্রায় ১৫টি বাসের চাবি কেড়ে নেয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বহনকারী মিনিবাস চলাচলও বন্ধ করে দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।

সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নগরীর ষোল শহর রেল স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের পাইপ কেটে দেয় তারা। এ কারণে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। অথচ সকাল থেকে চারটি ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেড়ে যাওয়ার কথা। শাটলট্রেন, শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় কার্যত অচল হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

রোববার ছাত্রলীগের দুই নেতা রাসেল ও মিঠুনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দিয়েছে চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মামুনের অনুসারী।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অমিত কুমার বসু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে প্রত্যক্ষ মদদে ভিসি লীগের কর্মীরা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের ওপর পরীক্ষার হলে হামলা চালিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’জনকে সাময়িক বহিষ্কার করার অজুহাত দেখালেও প্রশাসনের মদদেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করছে। হামলাকারীদের প্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সিরাজ উদ-দৌলার সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ষোলশহর ষ্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরব আলী জানান, ছাত্রদের বাধার মুখে রোববার বিকেল থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শাটল ট্রেন ছেড়ে যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ ট্রেন না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।