চলতি মাসে নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা

0
222

চলতি ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাসের শেষের দিকে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি বা দুটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) কিংবা মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, মাসজুড়ে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে। অন্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। মাসের প্রথমার্ধে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলেও শেষার্ধে কমে যাবে।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরে মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর প্রবাহ থাকবে স্বাভাবিক।
দৈনিক গড় বাষ্পীভবন থাকবে ২ দশমিক ৫০ থেকে ৩ দশমিক ৫০ মি.মি.। গড় সূর্য কিরণকাল হবে ৬ দশমিক ৫০ থেকে ৭ দশমিক ৫০ ঘণ্টা।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, নভেম্বর মাসে সার্বিকভাবে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।

গত ৪ঠা নভেম্বর সকাল ৯টায় উত্তর আন্দামান সাগর ও এর আশে পাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। যা ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। এরপর এটি পশ্চিম দিকে সরে যায়। পরদিন সকাল ৬টায় লঘুচাপটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হয়। ৬ই নভেম্বর সকাল ৯টায় এটি আরও পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়।

নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগুতে থাকে। ৭ই নভেম্বর রাত ৩টায় এটি ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এ পরিণত হয়। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ঝড়টি ঘণীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেয়। ৯ নভেম্বর রাত ৯টা থেকে ১০ই নভেম্বর ভোর ৫টার মধ্যে এটি সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করে।

খুলনা জেলা ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় এক ঘণ্টা অবস্থান নেয়ার পরে এটি কিছুটা দুর্বল হয় এবং গভীর নিম্নচাপ আকারে বাগেরহাট, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলে অবস্থান করে। সন্ধ্যায় কিছুটা সরে অবস্থান নেয় বাগেরহাট, বরিশাল ও ভোলায়। এরপর ঝড়টি পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হয়। বয়ে যায় ঝাড়ো হাওয়া।

গত মাসের ৭ তারিখে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কক্সবাজারে, ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৯শে নভেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়, ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নভেম্বর মাসে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিলো।