চসিকের উদ্যোগে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত

0
87

a1চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ ‘মায়ের দুধ আর ঘরের তৈরী খাবার, লক্ষ হবে সফল জীবন পাবার’ এ শ্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষে ১ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত পালিত হয়। এ উপলক্ষে চসিকের সবগুলো মাতৃসদন হাসপাতাল, দাতব্য চিকিৎসালয়, আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সেন্টার সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এ্যাডভোকেসি সভা করা হয়। সভা সমূহে মা ও শিশুর পুষ্টির তথ্য প্রচার করা হয়।
৭ আগস্ট ২০১৪খ্রি. বৃহস্পতিবার সকালে মেমন মাতৃসদন ও হাসপাতালের মিলনায়তনে মা ও শিশুদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সচিব রশিদ আহমদ। আলোচনা করেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়–য়া, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাহানা পারভীন, ইউপিপিআর ও পু্িষ্ট প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার আবদুল্লাহ হিল মামুন, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বাবলী মল্লিক। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আলী। পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন ভ্যাকসিনেশন ইনচার্জ আবু ছালেহ। সভায় ডাক্তার, মিডওয়াইফ, নার্স সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ বলেন, শিশু জন্মের ঘন্টার মধ্যে শাল দুধ শিশুকে খাওয়াতে হবে। ৬ মাস পর্যন্ত শিশু শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাবে। ২ বছর পর্যন্ত অন্যান্য খাবারের সাথে মায়ের দুধ খাবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সচেতনতা অপরিহার্য। গর্ভবতী মা যা খাবে তার প্রভাব শিশুর উপর পড়বে। জনাব আলী আহমেদ বলেন, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিক ৩ বার থেকে অতিরিক্ত ২ বার খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১ বার প্রাণীজ খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ খেতে হবে। এছাড়াও গাঢ় সবুজ ও রঙিন শাকসবজি ও ফল খেতে হবে, আয়োডিনযুক্ত লবণ, প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে। তিনি আরো বলেন, শিশু জন্মের পর মায়ের শাল দুধ জন্ডিস প্রতিরোধ করে, টিকা হিসেবে কাজ করে, চর্বি হজম করে, শিশুর পানির চাহিদা পূরণ করে, শরীর গঠন বৃদ্ধি, ডায়েরিয়া, সেপসিস, নিউমোনিয়ো, কান পাকা রোগ প্রতিরোধ করে। শালদুধে শিশুর মানসিক বিকাশ সাধিত হয় এবং শিশু বুদ্ধিমান হয়। নানা কারণে মাকে শিশুর প্রতি যতœবান হতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে মায়েদের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে এবং আগামী প্রজন্ম বুদ্ধিমান হবে।