সুমিষ্ট আমের জন্য বিখ্যাত দেশের উত্তর পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। জেলার প্রায় ১৭ লাখ মানুষের অধিকাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা আম ব্যবসার ওপরই নির্ভরশীল।
তবে গত বছর থেকে ভালো নেই আম ব্যবসার সাথে জড়িত মানুষেরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফরমালিন নিয়ন্ত্রণের নামে জেলা প্রশাসন সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়ায় আগাম আম বিক্রি করতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, চলতি বছর জেলায় আমে ক্ষতি হবে ৫শ’ থেকে ৮শ’ কোটি টাকা ।
হাজার হাজার ঝুড়ি আম নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বিক্রেতারা। কিন্তু বাজারে নেই কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা। বাগান মালিক, ব্যবসায়ীসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমের ওপর নির্ভর করে জেলার প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা। কিন্তু গত বছর থেকে খুব একটা ভালো নেই এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফরমালিন নিয়ন্ত্রণের নামে জেলা প্রশাসন সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়ায় আগাম আম বিক্রি করতে পারেননি তারা। আর এতে ন্যায্য মূল্যে আম বিক্রি করতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
প্রতি মণ আম ১৫’শ টাকা দরে কিনে ১২’শ টাকায় বিক্রি করে অনেকেই পুঁজি হারিয়েছেন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এ অবস্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ দাবি, চলতি বছর আম ব্যবসায় জেলায় ৫শ’ থেকে ৮শ’ কোটি টাকার ক্ষতি হবে।
কৃষি বিভাগ এ বছর জেলায় ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে । তবে চেম্বার অব কমার্সের হিসেব মতে, প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন।