চারুকলায় ছিল ছায়ানটের শরৎ উৎসব

0
107

চারুকলা অনুষদে আয়োজিত ছায়ানটেরশরৎ উৎসবে ছিল নৃত্য পরিবেশনা l ছবি: প্রথম আলোঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর দিয়ে যেতে দেখা গেল কয়েক তরুণী খোঁপায় শিউলি গুঁজে রিকশায় এগিয়ে চলেছেন। পরনে সুতির শাড়িতে নীল-সাদার মিতালি। ছুটির দিনে ঢাকা শহরের ঘুম তখনো ভালো করে ভাঙেনি। পথ ছিল ফাঁকা। তবে কি ইটপাথরের এই নগরে তরুণীরা এগিয়ে চলেছেন শরতের খোঁজে? নিজের কাছে রেখে দেওয়া প্রশ্নের জবাব মিলল খুব দ্রুতই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ক্যাম্পাসের দরজায় ঢুকতে মিলল কাঁশফুলের মিষ্টি পরশ। সুরের তালে সচকিত হলো চারপাশ। ‘দেখো দেখো, দেখো, শুকতারা আঁখি মেলি চায়’। শুক্রবার এভাবেই শুরু হলো ছায়ানটের শরৎ উৎসব।
চারুকলা চত্বরের গাছগুলোর মাথায় তখন সূর্যের আলো স্পর্শ। ‘আজকে একটু বেশিই গরম পড়েছে তাই না?’ অনুষ্ঠান শুরুর আগে নিজ থেকেই প্রশ্ন করলেন আয়োজনের কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত একজন। জবাবটা পরিষ্কার, তির তির করে ঘামছিলেন অনেকেই।
প্রথম সম্মেলক গানটির মুগ্ধতার রেশ কাটতে না কাটতেই সুবর্ণা দে ও অভিজিৎ দাস মিলে শোনালেন ‘পোহালো পোহালো বিভাবরী’। সুদীপ সরকারের একক কণ্ঠে ‘শুভ্র আসনে বিরাজ অরুণছটা মাঝে’ গানের পরে দ্বিতীয়বারের মতো সম্মেলক কণ্ঠে গান ‘আলোর অমল কমলখানি কে ফোটালে’ ছিল এক কথায় চমৎকার।
এরপর এ টি এম জাহাঙ্গীর ‘এবার অবগুন্ঠন খোলো’, সুতপা সাহা ‘কার বাঁশি নিশিভোরে’ যথাক্রমে শোনালেন একক কণ্ঠে। এ সময় মঞ্চে সাদা-নীল শাড়ি আর খোঁপায়-হাতে ফুলের সাজ নিয়ে এল একদল নৃত্যশিল্পী। ‘আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ’ গানের সঙ্গে ছিল তাঁদের সমবেত নৃত্য।
একক ও সম্মেলক গান এবং নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় শরতের এই আয়োজন। একে একে গান শোনান দীপাঞ্জন মুখার্জি, সেমন্তি মঞ্জুরি, মোস্তাফিজুর রহমান, বিক্রম দাস, মারুফা মঞ্জরি, কাঞ্চন মোস্তফা, নাঈমা ইসলাম, পার্থ প্রতীম রায়।
ছায়ানটের অন্য সব আয়োজনের মতো শরৎ উৎসবও শেষ হয় জাতীয় সংগীতের সমবেত পরিবেশনা দিয়ে।