নগরীর কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকায় ইয়াবা সম্রাট মো.সাহেদ ওরফে সন্দ্বীপ সাহেদকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশ ও সাহেদের অনুসারীদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে কমপক্ষে চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরা হলেন, এস আই জাহিদ, শাহাদাৎ, শাহআলম ও সাইদুল।
সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
নগর পুলিশের উপ কমিশনার (ডিসি-বন্দর) হারুন অর রশিদ হাজারি বলেন, সাহেদ নামে একজন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে যাবার পর তার লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল এবং গুলি ছুঁড়েছে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়েন। এতে আমাদের চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় সাহেদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি-বন্দর) মোস্তাক আহমেদ জানান, সাহেদ কর্ণফুলী এলাকায় ইয়াবা সম্রাট হিসেবে পরিচিত। রোববার তার দুই সহযোগীকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ওই মামলায় তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাহেদকেও আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই জহিরুল ইসলাম জানান, চারজন পুলিশ সদস্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন। আসামি সাহেদকেও হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে সাহেদকে ইছানগর এলাকায় তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়ার পথে সহযোগীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। প্রথমে তারা ইট, পাটকেল এবং পরবর্তীতে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে দুর্বৃত্তদের সরিয়ে দেয়।
ইয়াবা ব্যবসায়ী সাহেদ এবং তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাদানের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন এডিসি-মোস্তাক আহমেদ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাহেদ কর্ণফুলী থানার ইছানগরের মৃত কালা মিয়ার ছেলে। এলাকায় সে কোটিপতি ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। কয়েক বছর আগেও সাহেদের এলাকায় একটা সিডি-ভিসিডি’র দোকান ছিল। পরবর্তীতে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠে। কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে এলাকায় গড়েছেন দোতলা বাড়ি। নগরীর হালিশহর এবং খুলশীতে তার ফ্ল্যাট আছে বলেও পুলিশের কাছে তথ্য আছে।