২২-২৭ অক্টোবর জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলাকালীন ১২৯৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫-১২ বছরের বয়সী প্রায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) চসিক জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চসিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্য রক্ষা ব্যবস্থা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম।
বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. নাছিম ভূঁইয়া, ডা. আশীষ কুমার মুখার্জী, ডা. আরপি আসিফ খান, ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, ডা. মো. হাসান মুরাদ চৌধুরী, ডা. মুজিবুল আলম চৌধুরী ও ডা. সুমন তালুকদার, নিষ্কৃতি ক্লিনিক ম্যানেজার মো. আলাউদ্দিন।
সভা পরিচালনা করেন ভ্যাকসিনেশান ইনচার্জ মুহাম্মদ আবু ছালেহ।
কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম কৃমিকে শিশুদের শরীরের শত্রু আখ্যা দিয়ে বলেন, কৃমি শিশুদের জন্যে একটি মারাত্মক সমস্যা। যা খাবারের পুষ্টি খেয়ে ফেলে, ফলে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়।
তিনি এ ব্যাপারে বিশেষ করে মা’দের সচেতন হওয়ার এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করার জন্য আহবান জানান।
নাজমুল হক ডিউক বলেন, কৃমি অনেক প্রকার আছে, তাই কৃমিকে নিয়ে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নাই। কৃমি আক্রান্ত শিশুরা মেধাশূন্য হয়ে পড়ে, প্রায়শঃই বদহজম ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে, তাই এই কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি এ ব্যাপারে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে আলোচনা করে ব্যাপক প্রচারণা চালাবেন বলে সভায় জানান।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সফলভাবে বাস্তবায়ন এবং ভরা পেটে কৃমিনাশক ওষুধটি খাওয়ানোর লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ও জোন পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি সভা আয়োজনসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়েছে।