চুলায় গ্রেনেড ‘জঙ্গিরা’ মিলেছে তিন লাশ

0
41

ঢাকার তেজকুনিপাড়া ও নাখালপাড়া সীমান্তে অবস্থিত সন্দেহজনক জঙ্গি আস্তানা ‘রুবি ভিলায়’ মিলেছে তিন যুবকের লাশ। র‍্যাব বলছে, নিহত তিনজনই জঙ্গি। অভিযান চলাকালে তাঁরা গ্যাসের চুলায় গ্রেনেড রেখে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান। ছবি: সাজিদ হোসেনআজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে র‍্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল (বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট) রুবি ভিলায় কাজ শুরু করেছে। লাশগুলো সরানোর প্রক্রিয়া চলছে।

সকাল ১০টার পরে বাসার সামনে সাংবাদিকদের ঘটনার বর্ণনা দেন র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। নিহত তিন যুবকের একজনের নাম জাহিদ অথবা সজীব হতে পারে বলে জানান তিনি। ওই যুবকের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। একটিতে তাঁর নাম জাহিদ ও আরেকটিতে সজীব বলে উল্লেখ রয়েছে। তিন যুবকেরই বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। চলতি মাসের ৪ তারিখে তাঁরা বাড়িটি ভাড়া নেন বলে তিনি জানান।

‘জঙ্গি আস্তানার’ আশপাশের এলাকা। ছবি: কমল জোহা খান‘জঙ্গি আস্তানার’ আশপাশের এলাকা। ছবি: কমল জোহা খানগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে শুরু হওয়া অভিযান চলাকালে ওই বাসায় ‘জঙ্গিরা’ বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেছে বলে জানান বেনজীর। বাসার ভেতরে পাওয়ার জেল, সুইসাইড ভেস্ট ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেছে। অবিস্ফোরিত আইডিও আছে।

বেনজীর বলেন, বাড়ির মালিক নতুন এই তিন যুবকের ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি জানতেন না। বাড়ির কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) ভাড়া নেওয়ার বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

ছয়তলা বাড়িটির পঞ্চম তলায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে অভিযান চালাচ্ছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান সকালে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ তিনজন নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

‘জঙ্গি আস্তানার’ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান। ছবি: কমল জোহা খান‘জঙ্গি আস্তানার’ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান। ছবি: কমল জোহা খানপশ্চিম নাখালপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১০০ গজের মতো দূরে ‘রুবি ভিলার’ অবস্থান। সাংসদদের সরকারি বাসভবন বা ন্যাম ভবনের কাছেই এটি। ছয়তলা বাসার পঞ্চম তলায় মেস বাসা ছিল।

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে ফেলার পর একটানা প্রায় ৪০ মিনিট গোলাগুলি চলে বলে জানান মুফতি মাহমুদ খান। ওই বাড়ি থেকে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে ‘জঙ্গিরা’ গ্রেনেড ছোড়ে বলেও তিনি জানান।