চোখ হারাতে বসা শিক্ষার্থী মাশরাফুলকে ভারতে নেয়ার সিদ্ধান্ত

0
69

চট্টগ্রামে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে চোখ হারাতে বসা বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্র মাশরাফুল আল কারীবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ভারতের চেন্নাইয়ে নেয়া হবে বলে জানান মাশরাফুলের পিতা মো. কামরুজ্জামান।

এদিকে আজ বুধবার কারাগারে বন্দি অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফ বিল্লার জামিনের শুনানীর তারিখ থাকলেও শুনানী অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবি নিতাই প্রসাদ ঘোষ। তিনি আরো জানান, ভিক্টিমের বয়স যেহেতু কম। সেহেতু আদালত মামলার শুনানীর জন্য শিশু আদালতে হস্তান্তর করে। তাই আগামীকাল আসামী আরিফ বিল্লার জামিনের আবেদন শিশু আদালতে শুনানী হবে।

শিক্ষার্থী আশরাফুলের পিতা মো. কামরুজ্জামান বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা আমার ছেলের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার নিশ্চিয়তা দিতে পারছেন না। তারা বলছে ভালো হতেও পারে না হতেও পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মাশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসা ও চোখের অপারেশনের জন্য নেওয়া হচ্ছে ভারতের চেন্নাইয়ের শংঙ্কর নেত্রালয়ের একটি চক্ষু হাসপাতলে। গত ৩ আগষ্ট মাশরাফুলের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছি। আশা করি আমরা এই চলতি মাসের মধ্যেই মাশরাফুলকে নিয়ে ভারতের চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে যেতে পারবো।

.
তিনি আরো জানান, আমারছেলের সামনে এখনো অনেক পথ চলা বাকি। আমি চাই, যে কোনো কিছুর বিনিময়ে যেন আমার সন্তান তার বাম চোখের দৃষ্টি শক্তি আবার ফিরে পায়। সে যেন দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেয়ে আবার তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।

উল্লেখ্য গত ২৯শে জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৮ম শ্রেনীর বিশেষ কোচিং ক্লাস চলাকালে একটি অংক করতে গিয়ে ভুল করে মাশরাফুল আল কারীব। এতে গণিত শিক্ষক মো:আরিফ বিল্লা উত্তেজিত হয়ে চিকন কাঁটাতার পেঁচানো বেত দিয়ে মারতে থাকে মাশরাফুলকে। এক পর্যায়ে তারযুক্ত বেতের আঘাত তার বাম চোখে লাগে। ফলে বাম চোখ সাথে সাথে লাল বর্ণ ধারণ করে এবং গুরুতর জখম হয়।

এ ঘটনায় তার পিতা মামলা দায়ের করলে পুলিশ শিক্ষক আরিফ বিল্লাকে আটক করে জের হাজতে পাঠায়।

তবে এঘটনাকে কেন্দ্র করে বেপজা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন এম জি সবুর জানায়, ‘অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফ বিল্লাকে আমরা ইতিমধ্যে শোকজ করেছি এবং সাময়িক বরখাস্ত করেছি। স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।