চোরাচালনিদের দোষর মোমেন মকসুদকে এবার বরিশাল বিমানবন্দেরে বদলি

0
108

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার নুরে আলম চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ)চোরাচালনিদের দোষর মোমেন মকসুদকে দায়িত্ব থেকে অপসারণের পর এবার বরিশাল বিমানবন্দেরে বদলি করা হয়েছ।

রোববার দুপুর ১২টায় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের আদেশ ফ্যাক্সযোগে পাওয়ার পর পরই তাকে চট্টগ্রাম থেকে বরিশালে বদলির নির্দেশ দেয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার নুরে আলম চৌধুরী বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে সোনা চোরাচালনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের পর তাকে প্রথমে ম্যানেজারের পিএর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। তবে সে স্টেনো হিসেবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন। রোববার দুপুরে সদর দপ্তর থেকে তার বরিশাল বিমানবন্দরে তার বদলি আদেশ আসার পর পরই তাকে বদলি করা হয়।’

সূত্র জানায়, রোববার দুপুর ১২টায় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) আবু বক্কর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে অভিযুক্ত মোমেন মকসুদকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বদলি করে বরিশাল বিমানবন্দরে পাঠানোর আদেশ দেয়ায় হয়। ফ্যাক্সযোগে পাঠানো ওই অফিসে আদেশে তার বদলির সময় রোববার থেকেই কার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে গত ১ নভেম্বর সোনা চোরাচালনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিমানবন্দর ম্যানেজার রোববার সন্ধ্যায় পিএ মকসুদকে ওএসডি করেছিলেন। ৩ নভেম্বর থেকে বিমানবন্দর ম্যানেজারের পিএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন স্টেনোগ্রাফার করিম উদ্দিন।

১ নভেম্বর দুপুরে বিমানবন্দরে দুবাই ফেরত একটি ফ্লাইট থেকে আটক ২৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের পর চোরাকারবারীকে আটক করলেও পিএ মকসুদের তদবিরে তাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় বাংলামেইলে ‘সোনা পাচারকারীকে ছেড়ে দিল কাস্টমস!’ শিরোনামে প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর রাতের দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।

এরপর বিষয়টি তদন্ত করতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে বিমানবন্দরের সোন চোরাচালান চক্রকে ধরতে বিস্তারিত তদন্ত করছে। তদন্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।