টিকেট না পেয়ে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ছাত্রলীগের নৈরাজ্য

0
100

:: স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ::

Captureটিকেট না পাওয়ায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ভাংচুর নৈরাজ্যের মাধ্যমে অচল করে দিয়ে স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিক্ষোভ শুরু হয়।

এদিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার আবুল কালাম আজাদ এক বুকিং ক্লার্ককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া, এ ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এর পর ১০টার দিকে ছাত্রলীগ

মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি জানান, আগামী ৩১ আগস্ট ঢাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশে যাওয়ার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩৮০টি টিকেটের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন অযুহাতে গড়িমসি শেষে বুধবার রেল কর্মকর্তারা টিকেট দিতে পারবে না জানিয়ে বাইরে দালালদের কাছে যেতে বলেন।

এছাড়া, বুধবার সন্ধ্যায় কোন কারণ ছাড়াই পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মীকে রেল নিরাপত্তা বাহিনী মারধর করে। এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, টিকেটের ব্যাপারে রেলমন্ত্রীও অবগত রয়েছেন। কিন্তু অবৈধভাবে দালালদের কাছে টিকেট বিক্রির জন্য আমাদের টিকেট দেওয়া হয়নি। অবৈধ টিকেট বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিক্ষোভ চলবে। স্টেশনের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রেল স্টেশনে মাইক লাগিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। স্টেশন এলাকায় তারা কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না।

স্টেশনে রেল নিরাপত্তা বাহিনী ও রেল পুলিশের কয়েকজন সদস্য দেখা গেলেও কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নেই। স্টেশন ম্যানেজারের কক্ষে বসেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন।

ঘটনাস্থলে থাকা কোতোয়ালী থানার ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, উভয় পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছার চেষ্টা করছেন।

রেলওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদুর রহমান বলেন, সাড়ে ১০টার পূর্বে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার মতো কোন ট্রেন নেই, ফলে শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। তবে, পরে এ ঘটনার প্রভাব পড়তে পারে।