পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ সুন্দরের প্রতীক। যুগে যুগে কবিরা সুন্দর মানবী, অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করতে চাঁদের উপমা টেনে আনছেন। এই চাঁদ কি সবসময়ই একইভাবে ছিল, আছে বা থাকবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, চাঁদ আগের চেয়ে বদলে গেছে এবং ক্রমে ছোট হয়ে আসছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা জানান, কয়েকশ’ মিলিয়ন বছরে চাঁদের আকৃতি কমপক্ষে ৫০ মিটারের মতো ছোট হয়েছে। এ প্রক্রিয়া এখনও চলমান আছে, অর্থাৎ চাঁদ ক্রমেই আরও ছোট হচ্ছে। সেই সঙ্গে চাঁদের পৃষ্ঠদেশ কুঁচকে যাচ্ছে। এটা অনেকটা আঙুর শুকিয়ে কিশমিশ হয়ে যাওয়ার মতো। এমনটা হওয়ার কারণ কী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের কেন্দ্রস্থল ধীরে ধীরে শীতল হচ্ছে। এ শীতল হওয়ার কারণেই কুঁচকে যাচ্ছে এর পৃষ্ঠ। কেন্দ্রে এ পরিবর্তনের জেরে চাঁদ সংকুচিত হওয়ায় প্রায়ই সেখানে ভূকম্পন হয়। এ ভূকম্পনও বেশ শক্তিশালী; কখনও কখনও তা রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার চেয়েও বেশি। চাঁদের বুকে মহাকাশ যান অ্যাপোলো পৌঁছানোর পর থেকে ভূমিকম্পের এ মাত্রা নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে। অ্যাপোলোর মহাকাশ যাত্রীরা ভূকম্পন মাপার জন্য সেখানে সিসমোমিটার বসিয়েছিলেন। ওই সিসমোমিটার এখনও সক্রিয় আছে। সূত্র : বিবিসি