ছড়িয়ে পড়ুক চেতনা…

0
252

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কী ভুলিতে পারি’।

২১
চেতনা, গৌরব আর ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি শুরু হলো।
ফেব্রুয়ারি মাস এলেই হৃদয়টা দুমড়ে মুচড়ে ওঠে, ভাই হারানোর বেদনায় ভারাক্রান্ত হয় মন। বাঙালি জাতি সত্যিকার অর্থেই ভোলেনি ভাষা শহীদদের। তাইতো সময়ের আবর্তে ৬১ বছর পর আবার যখন আমাদের জীবনে ফিরে আসে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি তখন সমগ্র জাতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় মাথা অবনত করে নাম জানা আর না জানা শহীদ ভাষা সৈনিকদের প্রতি।
১৯৫২ সালে পাকিস্তানি শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে জীবন উৎসর্গ করেন বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিকসহ নাম না জানা অসংখ্য দেশপ্রেমিক। ভাষা আন্দোলনেই রচিত হয় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকা। এরই ধারাবাহিতায় বাঙালির গৌরবময় অর্জন হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। ভাষার জন্য জীবন দেয়ার ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। অসংখ্য মানুষের জীবন উৎসর্গের মাধ্যমেই বাংলা আজ বিশ্বের অন্যতম ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে। ২০০০ সালে আমাদের এ গৌরবের মাস পায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। একুশে ফেব্রুয়ারিকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন সরগরম হয়ে ওঠে।

যাই হোক, বাংলা অমর। বাংলার মৃত্যু নেই। চিরদিন এই বাংলাতেই কথা হবে, হবে গান-কবিতা-গল্প। এই ভাষাতেই হবে বাঙালীর বিজয়। সেই বিজয়ের প্রতীক্ষায় কাটে প্রতিটি প্রহর; প্রতিটি দিন। নিউজচিটাগাং২৪.কম-এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই ভাষার মাসের শুভেচ্ছা।

আর মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলা একাডেমি গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে উদ্যাপন করে আসছে ২১ বইমেলা। যার প্রাতিষ্ঠানিক নাম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। এবার গ্রন্থমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক বাংলা একাডেমির ৬০ বছরপূর্তি-হীরকজয়ন্তী যুক্ত হয়ে মেলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুনতর মাত্রা। বই মেলা ও ফেব্রুয়ারী যেন একই সাথে বাধা…. সফল হোক বই মেলার আয়োজন…. ছড়িয়ে পড়ুক চেতনা…