ছয় কন্টেইনার অপারেটর ও ছয় কার্গো অপারেটর’র কাছে চট্টগ্রাম বন্দর জিম্মি হয়ে আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন,‘বন্দর মূলত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও রাজস্ব আদায়ের নামে বিভিন্ন চার্জ আরোপ করা হচ্ছে। এতে ১২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্দর জিম্মি হয়ে পড়েছে।‘
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম চেম্বার মিলনায়তনে আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। “বন্দরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতাই দেশের অগ্রসরমান আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অনেকাংশে নির্ভরশীল” শীর্ষক এ বৈঠকের আয়োজন করে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
বৈঠকে চিটাগাং চেম্বারের নেতৃত্বে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে “বন্দর ও কাস্টম মনিটরিং সেল” গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাংসদ এমএ লতিফ।
পরবর্তী তিন বছরের জন্য কারসাজির মাধ্যমে ৬টি অপারেটর প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে ১৯ কোটি টাকায় কার্যাদেশ দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন এমএ লতিফ।
দেশের বৃহত্তর অর্থনীতির স্বার্থে ৫৬ জন হ্যান্ডলিং অপারেটরকে টেন্ডারে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহবান জানান তিনি।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের অগ্রসরমান আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যক্রম চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। তাই সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রোপটে এই বন্দরের গুরুত্ব অনেক।
তিনি বন্দরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে বন্দরের বর্তমান কার্যক্রম নির্বিঘ্নভাবে অব্যাহত এবং কার্যক্রমের উন্নয়নের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বেগবান করতে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রণয়ণে গুরুত্বারোপ করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বিজিএমইএ পরিচালক অঞ্জন শেখর রায়, সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে এম আক্তার হোসেন সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বিকেএমইএ’র শওকত ওসমান, বারভিডার সেক্রেটারী জেনারেল মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া চেম্বার পরিচালক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মাহফুজুল হক শাহ, ছৈয়দ ছগীর আহমেদ, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী , মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী , মো. দিদারুল আলম, মো. জাহাঙ্গীর, সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুল হক, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন, শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন, এমএলও, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশন, মাস্টার স্টীভিডোর্স এসোসিয়েশন, বারভিডা, বিজিএপিএমইএ, ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বন্দর ট্রাক মালিক ও কন্ট্রাক্টর এসোসিয়েশন, প্রাইম মুভার ওনার্স এসোসিয়েশন, আমদানি-রপ্তানিকারকসহ বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।