‘জনগণের কাছে জামায়াত ইসলামীর রাজনৈতিক অপকর্ম তুলে ধরতে হবে’

0
50

নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন,জামায়াত ইসলামী নামক রাজনৈতিক দলটি তাদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার জনগণকে বিভ্রান্ত করে রাখে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে এই দলটি বাঙালির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যা করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে পশ্চিমা পাক বাহিনীর সাথে একত্রিত হয়ে হত্যা,লুণ্ঠন,ধর্ষনসহ মানবতা বিরোধী অপরাধ কর্মকান্ড সংগঠিত করেছে। স্বাধীনতার পর আবার এই জামায়াত ইসলামীকে নানাভাবে সহায়তা করে স্বাধীন,সার্বভৌম বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি কায়েম করে। তাদের এই অপকর্মে সর্বাত্মক সহযোগিতা,ইন্ধন যুগিয়েছে বিএনপি নামক দলটি।যে দল স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে না,স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করে না। স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে রাজনৈতিক ঐক্য গঠন করে। সে দল কখনো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে পারে না। বিএনপি মুখে স্বাধীনতার কথা বললেও অন্তরে স্বাধীনতা ধারণ করে না। আগামী নির্বাচনের প্রাক প্রস্ততি হিসেবে আমাদের আদর্শিক নেতাকর্মীদেরকে জনগণের কাছে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্ম তুলে ধরতে হবে। তাদেরকে স্বাধীনতা বিরোধীর এসমস্ত ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। কারণ ক্ষমতায় এলে বিএনপি-জামায়াত ইসলামী এ শান্তিপ্রিয় দেশে আবার অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।
আজ বিকালে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ছাত্র পরিষদ চট্টগাম মহানগর শাখার উদ্যোগে জামায়াত-শিবির কর্তৃক আট ছাত্রনেতা হত্যার স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র একথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি নাছির উদ্দীন কুতুবীর সভাপতিত্বে ও মহানগর ছাত্রলীগ সদস্য মোস্তফা কামাল ও জালাল আহমদ রানার সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন বলেন, জামাত শিবির শান্তির ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আসলে তারা ইসলামকে অন্তরে ধারন করে না। ৭১ সনে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যখন সারাদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল তখন এ জামাত শিবির ধর্মকে ব্যবহার করে দেশে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এই জামাত শিবিরের ক্যাডাররাই সেদিন বহদ্দারহাটে মেধাবী আট ছাত্রলীগ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যা ইতিহাসে কলংকজনক। তিনি সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
স্মরণসভায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাবেক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত বলেন, জিয়াউর রহমান জামাতের আমীর গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে এনে নাগরিকত্ব দিয়ে এদেশে জামাত শিবিরের রাজনীতি শুরু করে। তার উত্তরসুরি বেগম খালেদা জিয়াও যুদ্ধাপরাধী এ জামাত শিবিরকে ক্ষমতার ভাগ দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে রক্তে অর্জিত স্বাধীনতার পতাকা তুলে দিয়েছে। একের পর একের আওয়ামী আদর্শিক নেতাকর্মীকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি চর্চার অপসংস্কৃতি চালু করে। এই নির্মম হত্যা পরিকল্পনার শিকার আট মেধাবী ছাত্রনেতা। সেদিন পরিকল্পিত ভাবে জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা বহদ্দার হাটে মেধাবী আট ছাত্রলীগ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-মহানগর যুবলীগ নেতা এ এম মহিউদ্দিন,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন,ফয়সাল বাপ্পী,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সদস্য রেজাউল আলম রণি,আরিফ মঈনুদ্দিন, বাবর উদ্দিন সাগর, মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি রোকন উদ্দিন রানা,এম কায়সার উদ্দিন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম কামাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী তানভীর, উপসম্পাদক মনির চৌধুরী,হুমায়ন কবির আজাদ, ইসমাইল হোসেন শুভ, সদস্য রিজোয়ানুল কবির সজীব, চ.বি ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য তানজীদ কামরান, পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাসান মাসুদ, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ওহিদুর কাদের ওহিদ,মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা বোরহান উদ্দিন ইমন,বন্দর থানা ছাত্রলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন,চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন জনি, কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগ নেতা ইমদাদুর রহমান রিয়াদ, সামাদ রহমান, সদরঘাট ছাত্রলীগ নেতা আদিত্য দাশ জয়, হালিশহর ছাত্রলীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন-কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রায়হান ইউসুফ, আবদুল মান্নান ফেরদৌস,জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলম,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুর রশিদ লোকমান,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খোরশেদ আলম, মো. মিয়া,শাহ আলম ভূঁইয়া, সাবেক ছাত্র নেতা হাজী মকসুদ আলী, গিয়াস উদ্দিন,হাসিবুল আলম আসিফ, যুবলীগ নেতা হাজী শোয়েব ইসলাম, সৈয়দুল ইসলাম, মাইনুল আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য রায়হানুল কবির শামীম, মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. শাকিল,দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শওকতুল ইসলাম,ফরহাদুল ইসলাম, পিকু সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিদোয়ান লাভলু, চ.বি ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল, মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন জিকু,সদস্য ফাহাদ আনিছ,গাজী আক্কাস,হাসানুল করিম, আ্ইন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নোমান জিহাদ, ভিপি মোজাম্মেল হক শামীম, দিদারুল ইসলাম খোকা, ইয়াকুব আবেদ,রহমত উল্লাহ রিফাত,ফয়সল,রাজু,সাইফুল,ভুট্টো,নুরুদ্দোজা প্রমুখ।