জনগনের সম্পৃক্ততা ছাড়া জঙ্গীবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব নয়

0
74

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মাদক একটি সামাজিক সমস্যা। এটা একক সমস্যা নয়, এটা সকলের সমস্যা। মাদক দিন দিন আমাদের সমাজকে তথা আগামী প্রজন্মকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগনের সম্পৃক্ততা ছাড়া জঙ্গীবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব নয়। মাদক নিমুর্ল করা এখন আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি সোমবার চসিক কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে ‘তারুণ্যের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘ জঙ্গী, সন্ত্রাস, মাদক ও দূর্নীতি বিরোধী চলমান শুদ্ধি অভিযানে একতœতা প্রকাশের প্রত্যয়ে তারুণ্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্যের সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. আবদুর রশীদ লোকমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আনজুমানে মুত্তাবেয়িনে গাউছে মাইজভান্ডারীর মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সৈয়দ মাহমুদুল হক, সিএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন বিপিএম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন আহমেদ, চসিক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়কারী জিনাত সোহানা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম, হাজী সামসুদ্দিন আহমেদ, হাজী ইদ্রিস কাজেমী, আনোয়ারুল ইসলাম বাপ্পী, মো. সোলায়মান। সালাউদ্দিন মামুন ও তামজিদ কামরানের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন কাজী আবদুচ ছাদেক নান্না, এম এ হান্নান পলাশ, আবু নাসের, সৈয়দ আচরা উল্লাহ আদিল, জাবেদুল ইসলাম শিপন, মুফিজুর রহমান দুলাল, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইয়াছির আরাফাত, এম এ নেওয়াজ, এস এস মুন্নাশাহ, আইয়ুব চৌধুরী, মো. নাসির, রকিবুল ইসলাম অপু, জাহেদ আলম, আলাউদ্দীন বাবু, যীশু দাশ, রাশেদুল ইসলাম, শাহিন খান, ওমর ফারুক জিসান, মঞ্জুরুল করীম, ইমরান হোসেন আরফিন, শেখ মো. রাফান, আনিসুর রহমান আকিব, মো. আরমান প্রমুখ। মেয়র আরো বলেন, আমাদের দেশের বিপথগামী যুবকদের মধ্যে যতদিন মাদকের ডিমান্ড থাকবে ততদিন মাদক সাপ্লাইয়েরও চেষ্টা করা হবে। যদি এই মাদকাসক্ত যুবকদের পুনর্নিবাসন কেন্দ্রে নিয়ে সুস্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায় তাহলে মাদকের ডিমান্ড যেমন কমবে, তেমনি সাপ্লাইও কমে যাবে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ থেকে মাদক নির্মূল হবে ।এই মাদকই আমাদের পিছনে টেনে ধরেছে। দেশের অনেক যুবক এই ভয়াবহ মাদকের কবলে রয়েছে। মাদকাসক্ত যুবকের জন্য সমাজ ও পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে। এক্ষুনি এর লাগাম টেনে ধরতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলে আমরা সারা বিশ্বে রোল মডেল। আধুনিক বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রনায়করা সন্ত্রাস, জঙ্গবাদ ও মাদক নিয়ন্ত্রনে আমাদের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। আগামী প্রজন্মের নাগরিককে সুস্থ, সুন্দর জীবন-যাপনে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য নগরীর গড়ে তোলার জন্য সবাইকে সচেতন হওয়া ও সহযোগিতার আহ্বান জানান মেয়র। প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। মানুষ মেরে কখনো ইসলাম কায়েম করা যায় না। যারা এই শান্তির ধর্ম ইসলামকে প্রতিনিয়ত কলংকিত করছেন তারা আর যাই হোক মদিনার ইসলামের বিশ্বাসী নয়। আমাদের সকলের খেয়াল রাখা উচিৎ আমাদের ছেলে কি করছে, কার সাথে মিশছে। শিক্ষকদের উচিৎ শিক্ষার্থীদের নৈতিক দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করা। এই শিক্ষাটা শিক্ষকদের দিতেই হবে নতুবা শিক্ষার্থীরা বিপথগামী হতে পারে। উল্লেখ যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চলমান সুদ্ধি অভিযানে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য তারুণ্যের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগ, আনজুমানে মুত্তাবেয়নে গাউছু মাইজভান্ডারী, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্কুল, লিউ জেলা ৩১৫ বি-৪, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর, আ জ ম নাছির উদ্দীন ব্লাড ডোনার গ্রুপ, ডিঙ্গি, বন্ধন ক্লাব, যুব স্কোয়ার চট্টগ্রাম, সিটিজি ব্লাড ব্যাংক, পাঁচলাইশ যুব সংঘ, দেওয়ানহাট সমাজকল্যাণ পরিষদ, প্রতিজ্ঞা সংঘ, ষোলকবহর মহল্লা সমাজকল্যাণ সমিতি, কাট্টলী স্পোটর্স ম্যান রিক্রেশান ক্লাব, জীবন্ত ব্লাড ব্যাংক, নীলগিরি খেলাঘর আসর এবং প্রজন্ম’৭১ সংগঠন সমূহকে ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মানিত করা হয়।