জলাবদ্ধতা ইস্যুতে সরগরম আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা

0
120

জলাবদ্ধতা ইস্যুতে সরগরম হয়ে উঠেছিল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা। সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জলাবদ্ধতা নিরসনে তার উদ্যোগ এবং কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

বৃহস্পতিবার (২১ জুন) বিকেল চারটায় দারুল ফজল মার্কেটের সংগঠনের কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির কর্মকর্তাদের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যান জলাবদ্ধতা ইস্যুতে কথা বলেন। একপর্যায়ে মাগরিবের আজান হলে সভা শেষ করে শাওয়াল মাসের রোজার ইফতার ও নামাজের জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তব সমস্যা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। বাস্তবায়ন সম্ভব নয় এমন কোনো আশ্বাস কিংবা রাতারাতি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখানো ঠিক হবে না।

আ জ ম নাছির উদ্দীন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠনকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, নির্বাচন বানচাল করে দেশে চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও উন্নয়নের ধারা নস্যাৎ করার জন্য জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত জামায়াত বিএনপি চক্র গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা দেশে জঙ্গি মৌলবাদীদের উত্থানের জন্য আর্থিক ও সাংগঠনিক সহযোগিতা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কাউকে সমাজবিরোধী কাজ করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।

সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির উত্থানকে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের রুখে দিতে হবে। চলমান গণতান্ত্রিক ধারার আবর্তে নেতা-কর্মীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণের কাছে উন্নয়নের সুবার্তা পৌঁছে দিতে হবে। বিপ্লবী চট্টলার বীর জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয় সুনিশ্চিত করবো।

সভায় ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এবং ঢাকায় গণভবনে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণ, ২৭ জুন মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান, ১ জুলাই সাবেক মন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরী মৃত্যুবার্ষিকী পালনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত হয়।

এ ছাড়া মহানগরের আওতায় চাঁন্দগাও, মোহর, উত্তর পাহাড়তলী, সরাইপাড়া, পশ্চিম বাকলিয়া ও পাথরঘাটা ওয়ার্ডের দ্বৈত কমিটির কার্যক্রম বৃহস্পতিবার থেকে স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।

একাধিক পদবিধারী নগর আওয়ামী লীগের নেতারা বাকি পদ স্বেচ্ছায় সম্মতিক্রমে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার ও ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, বদিউল আলম, এমএ রশিদ, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, আইন সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, কৃষি সম্পাদক আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, মহিলা সম্পাদিকা জোবাইরা নার্গিস খান, মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক দেবাশীষ গুহ বুলবুল, শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, উপ প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, উপ দপ্তর সম্পাদক জহর লাল হাজারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খোরশেদ আলম সুজন নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি, যানজট নিরসন, পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ, নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণের ওয়াসার পানি সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করার আহ্বান জানান।