জলাবদ্ধতা নিরসনে চউক’র পরিকল্পনা জানতে চায় চসিক

0
48

নগরীর জলাদ্ধতা নিরসনে আসন্ন বর্ষা মৌসুমের পূর্বে নগরীর কোন খালের খনন ও মাটি উত্তোলন করবে না বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পারেশন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানালে এর জবাবে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। আজ সকালে কর্পোরেশনের কনফারেন্স হলে নগর উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি(সিডিসিসি)’র ১১তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সামসুদ্দোহা একথা বলেন। সভায় কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু,ছালেহ্ আহমদ চৌধুরী, মো.সলিমুল্লাহ বাচ্চু,জহুরুল আলম জসীম, মো. জাবেদ, মো.আবুল হাশেম,এম আশরাফুল আলম, গোলাম মোহম্মদ জোবায়ের,সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারজানা পারভীন,কর্পোরেশনের সচিব আবুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন চৌধুরী, আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর এর ডেপুটি এস্টেট ম্যানেজার জিল্লুর রহমান, বিটিসিএল এর পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদ সরকার,চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী ইয়াকুব সিরাজউদদৌলা, চসিক এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন, আবু সালেহ, মুুনিরুল হুদা, নগর পরিকল্পনাবিদ এ এক এম রেজাউল করিম, উপ সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সাবিদুর রহমান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটিডে এর ব্যবস্থাপক মো.বশিরুজ্জামান, বিটিসিএল এর পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ সরকার, সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন, চউক এর প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ, ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু, নারী ঐক্য বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন নগরীর জলাদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬’শ ১৬ কোটি টাকার মূল প্রকল্প যেহেতু চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে, তাই একই কাজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের করার কোন সুযোগ নাই। যদি জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত কোন কাজে কর্পোরেশন সম্পৃক্ত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ডুপ্লিকেশন হতে পারে। আর্থিক অপচয়ের কারণে অডিট আপত্তি আসতে পারে।
তিনি সামনের বর্ষার পূর্বে নগরীর জলাবদ্ধতা কিছুটা হলেও কমিয়ে আনার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এর প্রি-ওয়ার্কের কোন পরিকল্পনা আছে কীনা,তা চউক এর প্রধান প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তাঁরা এক সপ্তাহের মধ্যে তা জানাবে বলে উল্লখ করেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন চৌধুরী জলাবদ্ধতা নিরসনে আগামী জুন পর্যন্ত নগরীর নীচু এলাকার খালের খনন কাজের জন্য তারা ৫’শ কোটি টাকা পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। যা এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। সভায় সিডিসিসি’র বিগত সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন, সদস্য সংস্থার মধ্যে তথ্যাদি বিনিময়, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উদ্ভুত সমস্যার সমাধান ও চসিকের ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী ইয়াকুব সিরাজউদদৌলা শহরের ট্রান্সমিশন ও নগরীর পানি সরবরাহের সংকট নিরসনে পাইপ লাইন বসানোর কাজে ৪ হাজার ৪শত কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি ৬১০ মিটার ডিষ্ট্রিবিশন পাইপ লাইন মেরামত করা হচ্ছে বলে জানান। এছাড়াও আগামী জুনের আগে নগরীর পানি সংকট নিরসনে ওয়াসা পানি সরবরাহ ক্ষেত্রে আরো ৯ কোটি লিটার পানি যুক্ত হবে। সিরাজউদদৌলা ২০২০ সালের মধ্যে সারফেজ ওয়াটার এর মাধ্যমে নগরীর পানির চাহিদা মিটবে বলে উল্লেখ করেন এবং পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে আর কোন ডিপ টিউব ওয়েলের প্রয়োজন হবে না বলে উল্লেখ করেন।