জাফর ইকবালকে দেখেই ভক্তদের উল্লাস

0
103

বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ড.মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আসার কথা শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায়। শুনে বিকেল ৪টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নিচে বাতিঘরে আসতে শুরু করে ভক্তরা। প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি না পেরুনো শিশু, সদ্য হাঁটতে শেখা সন্তানকে নিয়ে মা-বাবা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কিশোর, তরুণ, বৃদ্ধ সবার গন্তব্যস্থল হয়ে উঠে বাতিঘর।
জাফর ইকবালকে দেখেই ভক্তদের উল্লাস
ভিড় জমে যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায়ও। ভিড়ের মধ্যে পড়ে এক শিশু আহতও হন। অনেকে চাপ সামলাতে না পেরে বাতিঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান। ভিড় ঠেলে জাফর ইকবালকে নেয়া হয় বাতিঘরের ভেতরে অনুষ্ঠানস্থলে। কিন্তু তাকে সেখানে বেশিক্ষণ রাখা সম্ভব হয়নি। ভিড়ের চাপে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করতে হয় বাতিঘর কর্তৃপক্ষকে।

এত মানুষ, ভক্ত-অনুরাগীকে সামনে পেয়েও জাফর ইকবাল বিশেষ কিছু বলতে পারেননি। তবুও জাফর ইকবালকে কেউ এক নজর দেখেছেন, কেউ পেছনে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে একটি ছবি তুলতে পেরেছেন-তাতেই যেন সন্তুষ্টি সবার !

‘আমার জীবন আমার রচনা’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের কবি, সাহিত্যিক, সংস্কৃতি কর্মীরাও যোগ দেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পুলিশি নিরাপত্তায় ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। তার সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিণী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।

জাফর ইকবালকে দেখেই অপেক্ষমাণ পাঠক, ভক্তরা উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন। ভিড়ের চোটে একপর্যায়ে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে। মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অনুষ্ঠান শুরু হতে ২৫ মিনিট দেরি হয়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় গরমে ও মানুষের চাপে অতিষ্ট হয়ে শিশু কিশোর ও তাদের অভিভাবকেরা অস্বিস্ততে পড়েন। খানিক বিশৃঙ্খলাও সৃষ্টি হয়। এসময় জাফর ইকবাল সবাইকে বসার অনুরোধ করলে দর্শকরা বসে পড়েন।

জাফর ইকবাল বলেন, আমার খুব খারাপ লাগছে, আমার জন্য ছোট ছোট বাচ্চারা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। একজন লেখককে দেখার জন্য এত মানুষ আসবে এটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।

তিনি বাতিঘর কর্তৃপক্ষকে অনুষ্ঠান আয়োজনে আরো বড় মিলনায়তনের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করে বলেন, আমি কথা দিচ্ছি, বাতিঘর ব্যবস্থা করলে আমি আবারও আসব। আমি কথা দিলে সেটা রাখি।

জাফর ইকবালের আবারও আসার প্রতিশ্রুতিতে শান্ত হন মানুষ। এরপর জাফর ইকবালকে পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাতিঘর থেকে সরিয়ে নেয় পুলিশ।

ঘটনাস্থলে মানুষের পায়ের চাপে পারমিতা দত্ত নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী আহত হয়। সে নগরীর কুসুমকুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী বলে জানা গেছে।