চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদরদফতর (সিআরবি) এলাকায় জোড়া খুনের মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত (চার্জশিট) অন্যতম আসামি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সম্পাদক সাইফুল আলম লিমনের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছে নগর ছাত্রলীগের একাংশ।
লিমনের বিরুদ্ধে করা মামলা ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা-এমন অভিযোগ তুলে শনিবার দুপুরে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহার ও লিমনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানায় তারা।
এ বিষয়ে নগর ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সদস্য মো. শরীফ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাইফুল আলম লিমনের ইতিবাচক সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সাথে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ভয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন সন্ত্রাসীর সাথে গোপনভাবে আঁতাত করে লিমনকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতেই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তমূলক তথ্য দিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
২০১৩ সালের জুনে রেলের কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে সিআরবি ভবনের সামনে শিশুসহ জোড়া খুনের মামলার আসামি লিমনকে গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরের লালখান বাজারের বাসা থেকে তার তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করে র্যাব-৭। তাদের কাছ থেকে পিস্তল, তিনটি ওয়ান শুটারগান এবং গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও জানায় র্যাব।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগসহ নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ নেতারা শনিবার প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিটিতে।
তবে প্রতিবাদ সমাবেশে নগর ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করেচেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু।
তিনি সমকালকে বলেন, ‘আমাদের আজ কোন প্রতিবাদ সমাবেশ বা বিক্ষোভ ছিল না। আমাদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা দফতর সম্পাদক ছাড়া অন্য কোন সদস্যের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সাংগঠনিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ জুন সিআরবি এলাকায় যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবর ও লিমনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগকর্মী সাজু পালিত (২৮) ও শিশু আরমান (৮) নিহত হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় গত সোমবার লিমনকে প্রধান আসামি করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন লিমনকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান।