ঞ্চল্যকর কোকেন মামলায় চার্জগঠন

0
110

চট্টগ্রাম বন্দরের চাঞ্চল্যকর তরল কোকেন জব্দের মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর তরল কোকেন জব্দের মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামি ১৯ মে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।’

নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তরল কোকেন সন্দেহে ২০১৫ সালের ৬ জুন রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার সিলগালা করেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ৮ জুন এটি খুলে ১০৭টি ড্রামের প্রতিটিতে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল পাওয়া যায়। তেলের নমুনার প্রাথমিক পরীক্ষায় কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে উন্নত ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

ওই বছরের ২৭ জুন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর জানায়, কেমিক্যাল পরীক্ষায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দু’টি ড্রামের (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) নমূনায় এ কোকেন শনাক্ত হয়।

পরে ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর ১(খ) ও ৩৩ (১)/২৫ ধারায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে চোরাচালান সংক্রান্ত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (বি) ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে।

একই বছরের ১৯ নভেম্বর কোকেন আমদানির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে গ্রেফতার হওয়া ছয়জনের সঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত দু’জনসহ মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়

তবে এজাহারে নাম থাকলেও কোকেনের চালানটি যে প্রতিষ্ঠানের নামে বন্দরে আনা হয়েছিল, সেই খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদকে অভিযোগপত্রে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতি পান তার ভাই মোস্তাক আহমেদও।

অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়- গোলাম মোস্তফা সোহেল, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, লন্ডনে অবস্থানরত বকুল মিয়া ও ফজলুর রহমান, কসকো শিপিং লাইনের ম্যানেজার এ কে এম আমজাদ, গার্মেন্টস পণ্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদি আলম এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এজাহারভুক্ত প্রধান আসামির নাম না থাকায় অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেননি আদালত। পরে অধিকতর তদন্ত শেষে নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহমেদ এবং আগের আটজনসহ ১০ জনকে আসামি করে গত আদালতে মাদকদ্রব্য আইনের ধারায় সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র‍্যাব-৭ তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী।