পুলিশি ছিনতায়ের কবলে পায়ের জুতা, টাকা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র

0
128

মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে যোগ দিতে পুলিশের নানা হয়রানির পর একপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজের চেকপোস্টে পুলিশের ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম ছাত্রদলের দুই কর্মী।

তবে এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নারায়নগঞ্জের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের কর্মী সালাউদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার সুমন নামের ওই দুই ছাত্রদলকর্মীর অভিযোগ, কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে ঢাকাগামী সব যাত্রীবাহি বাস থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশির নামে পুলিশ সদস্যরা যেভাবে পারছেন টাকা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিচ্ছেন।

তারা জানান প্রতিবাদ করলেই ‘অভিযাত্রায়’ অংশগ্রহণের অভিযোগে আটক করার হুমকি দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্জিত করছেন।

ঢাকা থেকে নগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ‘গণজমায়েতে অংশ নিতে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা থেকে আসা ছাত্রদলের দুই কর্মীকে কাঁচপুর ব্রিজের চেকপোস্টে তল্লাশির নামে পুলিশ শারিরীকভাবে লাঞ্জিত করার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে টাকা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে। পুলিশ সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি এখন ছিনতায়ে নেমে গেছে।’

জুতাতিনি বলেন, ‘সব চেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে পুলিশ সুমন নামের এক ছাত্রদলকর্মীর পায়ের বিদেশী জুতাও খুলে নিয়ে গেছে।’

ঢাকায় অবস্থানকারী চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের কর্মী আব্দুস সাত্তার সুমন (২৭) বলেন, ‘আমরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে কৌশলে চট্টগ্রাম থেকে শুক্রবার রাতে সৌদিয়া পরিবহনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিই। পথে পথে পুলিশের নানা হয়রানি ও তল্লাশি শেষ করে সকালে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত আসার পর ফের তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এসময় ২জন পুলিশ কনেস্টেবল নানা প্রশ্ন করার এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে কিছু দূরে নিয়ে আমার মানিব্যাগ থেকে ৯৫০ টাকা ও পায়ের জুতা খুলে নিয়ে যায়। আমার সাথে থাকা ছাত্রদলকর্মী সালাউদ্দিনের কাছ থেকেও ৪০০ টাকা নিয়ে নেন। এসময় টাকা নিতে না চাইলে তারা লাটি দিয়ে বেশ কয়েকটা আঘাত করে ইউনিক পরিবহনের একটি গাড়িতে আমাদের তুলে দেন।’

পুলিশ কনেস্টেবলদের গায়ে জ্যাকেট পরিহিত হওয়ায় তাদেও নাম জানা সম্ভব হয়নি বলে জানান ওই ছাত্রদলকর্মী।

তবে এসব অভিযোগকে অস্বীকার করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম টেলিফোনে বলেন, ‘ওই সময় সেখানে ২০ জনের একটি তল্লাশি টিম দায়িত্বে ছিল। সেখানে নিয়মিত তল্লাশির অংশ হিসেবে সন্দেহভাজন লোকজনকে তল্লাশি করা হয়েছিল। হয়তো ছাত্রদলের ওইসব কর্মীরা পুলিশের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বদনাম ছড়াতে এ ধরণের মিথ্যাচার করছে।’সূত্র-বাংলামেইল