টেকনাফের দু’পলাতক মামলার আসামীর মরদেহ উদ্ধার

0
106

শামসু উদ্দিন, টেকনাফ:
কক্সবাজার টেকনাফে থানা পুলিশের সাথে মানব পাচারকীদের সাথে পাল্টাপাল্টি গুলাগুলিতে এক মানব পাচারকারী নিহত ও কক্সবাজার কবিতা চত্বর থেকে হোয়াইক্যং সাতঘরিয়া পাড়ার বাবুলের পরিত্যাক্ত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত দু’জনই মাদক ও মানব পাচারে অভিযুক্ত একাধিক মামলার আসামী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
টেকনাফ থানা পুলিশ সুত্র জানায়, ২৩ ফেব্রুয়ারী রাতের প্রথম প্রহর সাড়ে ১২টারদিকে বাহার ছড়া তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ মানব পাচারের সংবাদ পেয়ে উপকূলীয় বাহারছড়ার নোয়াখালী জুম্মা পাড়াস্থ মৃত হাকিম আলীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে অবস্থানের সংবাদ পেয়ে অভিযান চালায়। এসময় অপরাধীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশের এএসআই হাবিব উল্লাহ, কনস্টেবল সানি বডুয়া ও দেলোয়ার আহত হয়। তখন পুলিশও আত্বরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করার কিছুক্ষণ পর স্বশস্ত্র দূর্বৃত্তরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১টি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ৯ রাউন্ড খোসাসহ ৩টি মাদক মামলার আসামী স্থানীয় মৃত হাকিম আলীর পুত্র আব্দুস ছালাম (৩০) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ সালামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে, সেখানে কর্তব্য ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান,
নিহত আবদুস সালাম টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-৩০,তাং-১১-০২-২০২০ইং, ধারা-২০১২ সালের মানবপাচার ও প্রতিরোধ আইনের ৭/৮ ধারা,টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-৩৫,তাং ১৩-০২-২০২০, ধারা- মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের ৭/৮ ধারা,টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-৬১,তাং- ২২-০২-২০২০ইং,মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের ৭/৮ ধারার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি ছিল।
অপরদিকে কক্সবাজার শহরের কবিতা চত্বর এলাকা থেকে মো. আলম বাবুল (৪২) নামে এক মাদক কারবারীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল হতে দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি অপারেশন মাসুম খান জানান, আজ রোববার ভোরে দুই মাদক কারবারীদলের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ শহরের কবিতা চত্বর এলাকায় গেলে মাদক কারবারীরা পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে গুলিবিদ্ধ এক মরদেহ একটি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ৩ রাউন্ড কার্টুজ ও ২শ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে তার পরিচয় শনাক্তের পর জানা যায়, তার নাম মো. আলম ওরফে বাবুল মিয়া। সে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়া এলাকার মিয়া আহমদের পুত্র। পুলিশ জানান তার বিরুদ্ধে টেকনাফসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ইয়াবা কারবারের ৯টি মামলা রয়েছে। অপর ৩ ভাইসহ বাবুল মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছিল। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।