টেকনাফে বিজিবির সাথে গোলাগুলিতে নারী নিহত

0
65

শামসু উদ্দীন, টেকনাফ::
টেকনাফ উপজেলার নাফ নদে বিজিবির সঙ্গে ইয়াবা পাচারকারীদের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে জাহেদা বেগম (৪২) নামে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রি পাড়ার ও নৌকার মাঝি আবদুল গফুরের পুত্র মোঃ শফিক (২৫), মিয়ানমারের মংডুর মেরুল্লার মৃত মকবুল আহমদের পুত্র মোঃ কাশেম (৮০), মংডুর নলবইন্যার আলী জোহারের স্ত্রী মজুমা প্রকাশ মুজালাফা (৫০) ও একই এলাকার মোঃ তৈয়ুবের স্ত্রী রশিদা (২৫)। আহতদের ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর ৪.১৫ টায় টেকনাফ হাসপাতালে তাদের নিয়ে আসা হয়।
পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আবু জার আল জাহিদ জানান, বিশ্বস্থ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শাহপরীরদ্বীপ বিওপির হাবিলদার মোঃ নজরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল ১২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮ টায় নাফ নদের বদরমোকাম (গোলারচর) এলাকায় নৌকাসহ ওঁৎ পেতে থাকে। পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মায়ানমারের দিক হতে দুইটি নৌকা বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে টহলদল তাদের নৌকাসহ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। বিজিবি টহলদল কর্তৃক মায়ানমার হতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী নৌকা দুইটি থামানোর জন্য সংকেত দেয়া মাত্রই ঐ নৌকাগুলো হতে টহলদলের উপর গুলিবর্ষন শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি’র টহলদলও পাল্টা ১৭ রাউন্ড গুলিবর্ষন করে। এতে একটি নৌকা দিক পরিবর্তন করে মায়ানমারের দিকে চলে যায় এবং অপর নৌকাটি দিক পরিবর্তনের সময় চরে আটকে যায়। পরবর্তীতে টহলদল চরে আটকে যাওয়া নৌকাটি তল্লাশী করে নৌকার মধ্য হতে ২৮,০০০ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত ৩ জন মহিলা, ২ জন পুরুষ এবং অক্ষতাবস্থায় মোঃ শফিক (২৭), পিতা-মৃত আব্দুল মনাফ, গ্রাম ও পোঃ-শাহপরীরদ্বীপ, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজারকে আটক করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত আহত ৩ জন মহিলা এবং দুই জন পুরুষকে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোছাঃ জাহিদা বেগমকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত অপর চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।