ডাকাতির চেষ্টার সময় পুলিশ কনস্টেবলসহ দুজনকে ধরলো জনতা

0
59

নগরীর হালিশহরে একটি বাসায় ঢুকে ডাকাতির চেষ্টার সময় জনতা মো.শামীম ভূঁইয়া (২৭) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুজনকে ধরে পুলিশের কাছে দিয়েছে। মো.গোলাম মোস্তফা (৩০) নামে আটক হওয়া অপর যুবকও চাকুরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল।

 

শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটলেও রোববার তাদের আদালতে হাজিরের পর বিষয়টি জানাজানি হয়েছে।

নগরীর হালিশহর থানার শান্তিবাগ শ্যামলী আবাসিক এলাকার অবসরপ্রাপ্ত আয়কর কর্মচারি আব্দুর রাজ্জাকের বাসায় এই ঘটনা ঘটেছে।

হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, বাসায় ঢুকে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল শামীম এবং চাকুরিচ্যুত গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শামীম বান্দরবান জেলা পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে আছে।

তবে প্রেষণে চট্টগ্রামে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) কর্মরত আছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, শনিবার সন্ধ্যায় শামীম ও মোস্তফা তাদের বাসায় এসে দারোয়ান নূরনবীকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভেতরে ঢুকেন। ভবনের চতুর্থ তলায় আব্দুর রাজ্জাকের বাসায় গিয়ে কলিংবেল দেন। তারা নিজেদের হালিশহর থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খোলার জন্য বলেন।

খুলতে দেরি হলে তারা দরজায় লাথি মেরে ভীতিময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। দরজা খোলার পর তারা রাজ্জাক ও তার মেয়ে বৃষ্টি এবং দারোয়ান নূরনবীর মোবাইল কেড়ে নেন। এরপর বাসার ভেতরের কক্ষে ঢুকে আলমিরা ভাঙার চেষ্টা করেন।

চিৎকার-চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে যায় এবং ভবনের আশপাশে জড়ো হন। এসময় লোকজন গিয়ে শামীম ও মোস্তফাকে ধরে ফেলেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ঘটনা শুনে আমরা দ্রুত সেখানে গিয়ে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। আব্দুর রাজ্জাক দণ্ডবিধির ৩৯২ ধারায় মামলা করেছেন।

এদিকে রোববার বিকেলে শামীম ও মোস্তফাকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়ার আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে পুলিশ পরিদর্শক জোবাইর জানান।

সূত্রমতে, গোলাম মোস্তফাকে ২০১১ সালে কনস্টেবল পদে চাকুরিরত অবস্থায় নগরীর

 

কোতয়ালী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। জেল রোডে আনসার ক্লাবের সামনে ছিনতাইয়ের সময় তাকে কোতয়ালী থানার তৎকালীন এসআই মোহাম্মদ মহসিন গ্রেফতার করেছিলেন। এরপর তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছিল।