ড. নজরুলকে জানার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে পারব

0
56

চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভায় বক্তারা

চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ভৌত বিজ্ঞানী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমিরেটর্স প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলামের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ছোট দেশের বড় বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও দার্শনীক ড. জামাল নজরুল ইসলামের আমাদের অহংকার শীর্ষক এক স্মরণ আলোচনা সভা গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর কদম মোবারক স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সাবেক ডিন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা গবেষক প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন। চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও প্রাচ্য ভাষা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিনবোধী ভিক্ষু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা রুমি সোসাইটির মহাসচিব আল্লামা এস.এম সিরাজ-দৌল্লা, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক ও নাট্যজন সজল চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা লিয়াকত আলী খান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগনেতা সুমন দেবনাথ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বাবুল কান্তি দাশ, কাজী গোলাপুর রহমান, রাজনীতিবিদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কবি সজল দাশ, কবি ও ছড়াকার ইমরান ফারুকী, প্রকৌশলী সঞ্চয় কুমার দাশ, রাজনীতিবিদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চকবাজার থানা আওয়ামীলীগ নেতা মাঈন উদ্দিন মিন্টু, পূর্বাশার আলোর সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন গিফারী, পূর্বাশার আলোর সাধারণ সম্পাদক আবু নোমান রানা, সাংবাদিক সোহেল তাজ, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সালাউদ্দিন লিটন, সাংবাদিক রুজি চৌধূরী, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ আয়েছ, মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রলীগনেতা আনন্দ মজুমদার, বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগনেতা ইরফান উদ্দিন তাসকিন, চৌধূরী গোফরান, রতন ভট্টাচার্য প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, ড. জামাল নজরুল ইসলাম সমগ্র বাঙালীর গর্বের ধন। একজন বিশ্ববরণ্য বিজ্ঞানী হলেও যার মধ্যে ছিল নিখুত এবং নিঃস্বার্থ দেশ প্রেম। যার চিন্তা চেতনা ছিল বাঙালীর উন্নয়ন। যিনি একাধারে বিজ্ঞানী, দার্শনীক, সাহিত্যিক এবং মহা মনীষী হিসেবে আমৃত্যু চট্টগ্রাম তথা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে গেছেন। একজন শিশু সুলভ এবং নিরহংকারী মনের অধিকারী মানুষ হিসেবে তিনি সবসময় মানুষের কল্যাণে, দুঃখি মানুষের মূখে হাসি ফুটানোর জন্য দেশের পথে প্রান্তরে ছুটে গেছেন। তাঁর কাছে প্রতিটি মানুষই মূল্যবান ছিল। সভায় বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের এই মহা মনীষীকে চর্চার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিক্ষায় অধিকতর জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। বর্তমানে বিজ্ঞান শিক্ষায় যেহারে শিক্ষার হার খুবই নগন্য সেখানে ড. জামাল নজরুল ইসলাম বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রেরনার বাতিঘর হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া বক্তারা বলেন, ছোট দেশের এই বিশ্ববরণ্য বিজ্ঞানীকে স্মরণ করার জন্য বাংলাদেশে একটি প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলাম আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। সভা শেষে প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলামের আত্মর মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।