ঢাকায় ফাইভ জি পরীক্ষা শুরু করেছে হুয়াওয়ে

0
89

ইতোমধ্যে নিজেদের প্রযুক্তি ঝালিয়ে নিতে ফাইভ জি ‘পরীক্ষা’ শুরু করেছে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে।আগামী ২৫ জুলাই ঢাকায় যাতে ‘টেস্ট রান’ সফলভাবে করা যায় তার জন্যে এই পরীক্ষা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।গত সপ্তাহ থেকে হুয়াওয়ে নিজেদের অফিসেই এই প্রযুক্তি পরীক্ষা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।২৫ জুলাই পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভ জি) মোবাইল প্রযুক্তির পরীক্ষা করে এ খাতে চমক দিতে তৈরি হচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবিও।রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ওই ‘বাংলাদেশ ফাইভ জি সামিট’ও অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত দাওয়াতপত্রও বিলি করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধান অতিথি থেকে ওই সামিটের উদ্বোধন করবেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন।এর মধ্যে ফাইভ জি’র সফল পরীক্ষা চালাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন হুয়াওয়ের নামে এক সপ্তাহের জন্যে স্পেকট্রামও বারাদ্দ দিয়েছে।বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে তারা তিন মাসের জন্যে স্পেকট্রাম চাইলেও তা পরে মাত্র এক সপ্তাহের জন্যে অনুমোদন দেওয়া হয়।গত মাসের শেষ দিকে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন বিআইজেএফের এক আলোচনায় টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রথম ফাইভ জি’র পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দেন।বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে ইতিমধ্যে ফাইভ জি’র পরীক্ষা চলছে। এ বছরের শেষের দিকে কোনো কোনো বড় শহরে এর বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হতেও পারে।তবে বাংলাদেশের বাজার এখনো ফাইভ জি প্রযুক্তি ব্যবহারের পর্যায়ে যায়নি বলেও মনে করেন কেউ কেউ। তারা বলছেন, ওই সময় আসতে বাংলাদেশের আরো অন্তত চার-পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র দেশে ফোরজি ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখনো দেশের সবগুলো শহরে ফোরজি প্রযুক্তির ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয়নি। আর সব মিলে মাত্র ৪০ লাখের মতো সিম ফোরজিতে সংযুক্তি হয়েছে। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহারকারী আরো কম।
এর আগে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেশে থ্রিজি ব্যবহার শুরু হয়।নতুন নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণাতে হুয়াওয়ে ৬ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। হুয়াওয়ের পাশাপাশি টিম, টেলুস ও অন্যান্য নেটওয়ার্ক সেবাদাতারাও ফাইভজি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।এ বছর থেকেই কোয়ালকম, স্যামসাং ও ইন্টেল ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের উপযোগী ফোন নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মের এই ওয়্যারলেস প্রযুক্তি দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে অনেকখানিই পাল্টে দেবে।স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানো, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্মার্ট সিটি ও নেটওয়ার্ক যুক্ত রোবট চালাতে ভূমিকা রাখবে ফাইভজি। এর বাইরেও অভাবনীয় কিছু কাজে ব্যবহৃত হবে ফাইভজির গতি।