ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সীমিতভাবে চিকিত্সাসেবা শুরু

0
68

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে সীমিতভাবে চিকিত্সাসেবা শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতভর ও আজ সকালে জরুরি বিভাগে চিকিত্সাসেবা বন্ধ ছিল। এতে চরম ভোগান্তি পোহান রোগীরা।

হাসপাতালের আবাসিক সার্জন রিয়াজ মোর্শেদ আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষানবিশ চিকিত্সকেরা এখনও কাজে যোগ দেননি। সরকারি চিকিত্সক দিয়ে আমরা জরুরি বিভাগটি চালু রেখেছি।’

জরুরি বিভাগের কাউন্টার থেকে এখন রোগীদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

গতকাল রাতে রাজধানীর চানখাঁরপুলে মোমিনুল ইসলাম (৩০) নামের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিত্সককে বেদম মারধর করেন কয়েকজন যুবক। এ ঘটনার প্রতিবাদে চিকিত্সকেরা রাত ১২টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে রাত একটার দিকে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এসে তালা খুলে দেয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, তালা খুলে দেওয়া হলেও রাতভর জরুরি বিভাগে চিকিত্সাসেবা বন্ধ ছিল। আজ সকালেও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিত্সাসেবা বন্ধ ছিল। তবে সকাল ১০টার দিকে জরুরি বিভাগে কয়েকজন চিকিত্সক আসেন।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, মারধরে আহত মোমিনুল হাসপাতালের অনারেবল মেডিকেল অফিসার (এইচএমও)। গতকাল রাত নয়টার দিকে মোমিনুলসহ কয়েকজন চিকিত্সক চানখাঁরপুলে একটি হোটেলে খেতে যান। খাওয়া শেষে হাসপাতালে ফেরার পথে আফতাব হোটেলের সামনে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক হকিস্টিক নিয়ে তাঁদের ঘিরে ধরেন। ওই যুবকেরা জিজ্ঞেস করেন, তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিত্সক কি না। উত্তরে তাঁরা হাসপাতালের অনারেবল মেডিকেল অফিসার (এইচএমও) পরিচয় দেন।

পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু বুঝে ওঠার আগে ওই যুবকেরা তাঁদের ওপর হামলে পড়েন। তাঁরা হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। তাঁদের কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারলেও মোমিনুল পারেননি। ওই যুবকেরা তাঁকে বেদম মারধর করেন।

মারধরে মোমিনুলের মাথা ফেটে গেছে। শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। ঢাকা মেডিকেলে তাঁর চিকিত্সা চলছে। খবর পেয়ে শতাধিক শিক্ষানবিশ চিকিত্সক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে জড়ো হন।
কারা, কী কারণে মারধর করেছে প্রশ্ন করলে চিকিত্সকদের কেউই এ ব্যাপারে মন্তব্য করেননি।