তরুণদের স্বপ্ন দেখানোর আহ্বান- রাষ্ট্রপতি

0
87

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
তরুণ প্রজন্মই সমাজ পরিবর্তনের প্রধান হাতিয়ার উল্লেখ করে তাদের স্বপ্ন দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি।

রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তব্য দেন সমাবর্তন বক্তা ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির ভাষণে রাষ্ট্রপতি দল-মত-পথের পার্থক্য ভুলে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা তরান্বিত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় তরুন প্রজন্মের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে তাদের তথ্য প্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করার তাাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিলো একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এ তরুন প্রজন্মই জাতির প্রাণ শক্তি, সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। তাদের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে তাদের তথ্য প্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করতে হবে।

উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, গবেষণার মাধ্যমে সৃষ্টি হয় নতুন জ্ঞানের যা জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠনে অবদান রাথে। সময়ের চাহিদা বিবেচনায় রেখে সরকার দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে দেশে সরকারি বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠাণের সংখ্যা শতাধিক। তবে উচ্চ শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর‌্যায়ে উন্নীত করতে আমাদের অবিরাম তৎপরতা চালাতে হবে। বাড়াতে হবে গবেষণার ক্ষেত্রও।

১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। চলার পথের পঞ্চাশ বছরে এর আগে তিনটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়, যার সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর। রোববার অনুষ্ঠিত চতুর্থ সমাবর্তনে সাত সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তব্যে প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান দেশে ধর্মের নামে উগ্র পন্থা সহ কিছু কিছু বিষয় সুস্থ জ্ঞান চর্চ্চার অন্তরায় উল্লেখ করে বলেন, পরমত সহ্য করতে হবে। তিনি পেশী শক্তির বদলে যুক্তির আশ্রয় নেয়ার আহবান জানান।

এবারের সমাবর্তনে ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে শিক্ষা সমাপনকারী ৭ হাজার ১ শ ৯৪ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়, যার মধ্যে চ্যান্সেলর পদক পাচ্ছেন নয়জন শিক্ষার্থী। এছাড়া ২৫ জন পি এইচডি ও ১৩ জন এমফিল রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে সনদ তুলে দেন রাষ্ট্রপতি।